ডায়মন্ড হারবারের দুর্ঘটনায় নদীতে তলিয়ে যাওয়া দুই শিশু কন্যা এখনও নিখোঁজ । রবিবার সন্ধেয় ভেসেল থেকে নামতে গিয়ে নদীতে পড়ে তলিয়ে যায় ২ বোন । কিন্তু, ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি । স্পিড বোটের সাহায্যে তল্লাশি চলছে । পাশাপাশি ড্রোন উড়িয়েও খোঁজ চলছে ওই দুই বোনের ।
রবিবার সন্ধেয় পরিবারের সঙ্গে ভেসেলে ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাটে আসেন দুই শিশু কন্যা । পরিবারের দাবি, ভেসেল থেকে আর এক ভেসেলে পার হতে গিয়েই তলিয়ে যায় দুই বোন আতিফা ও সীতারা । ঘটনাস্থানে পৌঁছয় পুলিশ, পুরসভার আধিকারিকরা । খবর দেওয়া হয় কুইক রেসপন্স টিম, সিভিল ডিফেন্সকে । প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দুই শিশু কন্যার খোঁজে রাতভর নদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় তল্লাশি চালানো হয় । সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা পুলিশ বোট নিয়ে হুগলি নদীর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি করলেও, দুই শিশু কন্যার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি । ফের সোমবার সকালে ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে । হুগলি নদী সংলগ্ন এলাকার থানাগুলোকেও অ্যালার্ট করা হয়েছে । প্রশাসন সূত্রে খবর, জলস্তর বেশি হওয়ায় উদ্ধারকাজে অসুবিধা হচ্ছে ৷ তবে খুব শীঘ্রই দুই শিশুর খোঁজ মিলবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন ।
জানা গিয়েছে,ওই দুই শিশু ছত্তিশগড়ের রায়পুরের বাসিন্দা । একজনের নাম আতিফা ও অন্যজনের নাম সিতারা । কলকাতার তপসিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে তারা বেড়াতে এসেছিল । রবিবার কুমড়োহাটি যায় ওই পরিবার । সেখানে বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়ে ভেসেলে ডায়মন্ড হারবার ফেরার সময়ই ঘটে দুর্ঘটনাটি।
পরিবার সূত্রে খবর, ফেরিঘাটে একটি খালি ভেসেল দাঁড়িয়ে ছিল। এক ভেসেল থেকে অন্য ভেসেলে লাফ দিয়েই পার হতে হয়। শিশুটি লাফ দিতে না পেরে দুটি ভেসেলের মধ্যে দিয়ে গলে যায়। তাকে ধরতে পড়ে যায় তার দিদিও। এক নিমেষে পরিবারের লোকজনের সামনেই নদীতে তলিয়ে যায় ২ শিশু। ঘটনায় শোকাহত পরিবার। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দুই শিশুর মা ও তাদের পরিবার।