বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) অধঃপতনের মূল কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা । সম্প্রতি, ১১ পাতার খোলা চিঠিতে এমনই অভিযোগ তুলে ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty) । চিঠির মাধ্যমে বিশ্বভারতীর মঙ্গলের চিন্তা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছেন উপাচার্য । আর তা করতে গিয়েই প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি । বাদ যাননি বোলপুরবাসীও । তাঁর অভিযোগ, সবাই শুধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছে । বিশ্বভারতীর উন্নতির কথা ভাবেননি কেউ । তাঁর দাবি, ২০১৮ অর্থাৎ তাঁর সময়কাল থেকেই 'বিশ্বভারতীকে বিশ্বভারতী করে তোলার একটি সমবেত প্রয়াস শুরু হয়েছে ।'
চিঠিতে উপাচার্য লিখেছেন, "বিদ্যাস্থান হিসেবে বিশ্বভারতী-শান্তিনিকেতনের অধঃপতন অপ্রতিহতভাবে ঘটেই চলেছে । এর জন্য দায়ী বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যগণ,ছাত্র,শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ইত্যাদি বিশ্বভারতীর অংশীদার সবাই ... যাঁরা বিশ্বভারতী থেকে শেষবিন্দু পর্যন্ত ফায়দা নিংড়ে নিয়েছেন । অথচ প্রতিদানে প্রতিষ্ঠানটির জন্য কিছুই করেননি । " বোলপুরবাসী প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, “অধঃপতনের জন্য বোলপুর শহরের মানুষরাও কম দায়ী নন। তাঁদের কাছে বিশ্বভারতী হল সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁসের মতো। তাঁরা লাভের কড়ির হিসাব নিয়েই মত্ত। কিন্তু, দিনে দিনে ক্ষীয়মান সেই রাজহাঁসের যত্ন-আত্তি বা পরিচর্যার জন্য তাঁদের কোনও অবদানই পরিলক্ষিত হয় না।”
আরও পড়ুন, Purulia News : ১৯ বছরের মেয়ের সহপাঠী চল্লিশ ছুঁইছুঁই মা, স্নাতকস্তরের পরীক্ষা দিচ্ছেন একসঙ্গেই
উপাচার্য স্বীকার করেছেন, এখন আর বিদেশি পড়ুয়া আসে না বিশ্ববিদ্যালয়ে । পাশাপাশি বাইরে শিক্ষকরা আসেন না বিশ্ববিদ্যালয়ে, সে কথাও স্পষ্ট করে লিখেছেন তিনি । এর জন্য প্রাক্তনী ও আশ্রমিকদেরই কাঠগড়ায় তুলেছেন উপাচার্য । তাঁর দাবি, ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বভারতীকে বিশ্বভারতী করে তোলার একটি সমবেত প্রয়াস শুরু হয়েছে । গোটা দেশ এবং বিদেশ থেকে শিক্ষকদের যাতে এখানে নিয়ে আসা যায় সেই কারণেই এই চেষ্টা করা হচ্ছে । এদিকে, অভিযোগ, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময় থেকেই বিশ্বভারতী অধঃপতনে গিয়েছে । বিদেশি পড়ুয়াদের সংখ্যাও কমেছে তাঁক সময়কাল থেকেই ।