আরজি কর আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন WBJDF-কে আক্রমণ নবগঠিত সংগঠন জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দের মন্তব্য নিয়ে জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, ধর্ষকের সুরে সুর মিলিয়ে ধর্ষকেরই পক্ষ নিচ্ছেন কিঞ্জলরা!
আরজি করের চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে সোমবার শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়। প্রিজন ভ্যান থেকে সবার সামনে চিৎকার করে সঞ্জয়। তার দাবি, আসলদের বাঁচানোর জন্য তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সরকারই ফাসাচ্ছে। ডিপার্টমেন্ট তাঁকে চুপ থাকতে বলেছে। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই ভিডিয়ো করেন কিঞ্জল নন্দ। কী বলেছেন তিনি?
এরপরই WBJDA-এর পক্ষ থেকে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন অতনু বিশ্বাস। তাঁর দাবি, "আরজি করে নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত শিয়ালদহ কোর্ট চত্বরে জানিয়েছে, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে WBJDF-এর নেতা কিঞ্জল নন্দ প্রশ্ন তুলেছেন, কে ফাঁসাচ্ছে, কাকে ফাঁসাচ্ছে, কেন ফাসাচ্ছে? আমরা তাঁকে প্রশ্ন করতে চাই যে, তাঁরা যে এত দিন মানুষকে বলে এসেছেন, মানুষ কার পক্ষে- ধর্ষকের না নির্যাতিতার। তা হলে সেই সংগঠনের নেতারা এখন ধর্ষকদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন কেন? আবারও ওরা দ্বিচারিতা প্রকাশ করল।" WBJDA-এর দাবি, নির্যাতিতার বাবা-মা-এ সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করছে সিবিআই। যখন সিবিআই বলছে, অভিযুক্ত সঞ্জয়ই আরজি কর কাণ্ডে একমাত্র দোষী, তা মেনে নিতে জুনিয়র ডাক্তাদের ফ্রন্টের সমস্য়া কোথায়! কিঞ্জলকে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও করেন অতনু বিশ্বাস। তাদের দাবি, কিঞ্জলের শ্বশুরের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ আছে। তাই তাঁর মুখে ধর্ষকের সমর্থন শুনতে পাওয়া আশ্চর্যের নয়।
উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডে সিবআই যে প্রাথমিক চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়, খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে একজনই জড়িত। গত শনিবারও সাংবাদিক বৈঠক করে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ফরেনসিক ল্যাবে নমুনা পাঠানোর সময়ের ব্যবধান কেন তুলে ধরছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার ধৃত সিভিক পুলিশের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে এই মামলার রোজ শুনানি শুরু হবে।