সকাল বেলা হালকা চাদর গায়ের উপর না রাখলেই শীত শীত ভাব, পাখা এসির খরচ বেঁচে যাচ্ছে, আর দুপুর হলেই ঝলমলে রোদের সঙ্গে হিমেল হাওয়া। কার্তিক মাসে হেমন্তের এমনই মনোরম আবহাওয়া উপভোগ করছে কলকাতাবাসী। না হাড় কাঁপানো ঠান্ডা না গলদঘর্ম গরম। এই সুন্দর মিষ্টি আবহাওয়ায় বেরিয়ে আসতে পারেন কাছাকাছি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হিমেল হাওয়ার দাপট ক্রমশ বাড়বে, আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে শীতের প্রকোপ খানিকটা বাড়বে। ইতিমধ্যেই হাতে পায়ে টান ধরতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গবাসীর। ধাপে ধাপে আরও শুষ্ক হবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া, এমনটাই খবর হাওয়া অফিস সূত্রে। তবে, জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে এখনও অপেক্ষা আরও ২ সপ্তাহ।
সিত্রাং এর প্রভাব কাটতেই বাংলা থেকে পাত্তাড়ি গুটিয়ে বিদায় নিয়েছে গ্রীষ্ম এবং বর্ষা। গত এক দশকের নিরিখে চলতি বছরে শীতলতম অক্টোবরের রেকর্ড গড়েছে কলকাতার তাপমাত্রা। আগামী চার পাঁচ দিন ২২ বা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই ঘোরাফেরা করবে। শীত ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে তা বলাই বাহুল্য ডিসেম্বর থেকে কনকনে ঠান্ডায় কাঁপবে বঙ্গবাসী। শীত থাকবে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত।