সাধারণ মানুষের সুযোগ-সুবিধার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার (West Bengal Government) । কিন্তু, এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা হয়তো সরকারি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় বা প্রকল্পের নাম শুনলেও, বিস্তারিত জানেন না । ফলে প্রকল্পগুলির সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন । এবার থেকে এডিটরজি বাংলায় পেয়ে যাবেন এমনই কিছু সরকারি প্রকল্প নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য । আজকের প্রকল্প শিশুসাথী । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্প অসুস্থ শিশুদের জন্য । শিশুসাথী প্রকল্পে কী কী সুবিধা রয়েছে, আবেদন কীভাবে করবেন জেনে নিন...
২০১৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিশুসাথী প্রকল্প চালু করেন রাজ্যে । যেসব শিশুদের হার্টে কোনও সমস্যা আছে, তাঁদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে রাজ্য সরকার । হার্টে ভাল্বের সমস্যা, হার্ট ফুটো, রক্ত সঞ্চালনে অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি সমস্ত জটিল হৃদরোগের চিকিৎসা থেকে অস্ত্রোপচার এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে । রাজ্য সরকার প্রতি বছর প্রায় ৩০০০ শিশুর হার্ট সার্জারির ব্যবস্থা করেছে । সরকারি ও বেসরকারি...দুই হাসপাতালেই এই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে ।
জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এই সুবিধা মিলবে । আবেদনকারী অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে । আবেদন করার জন্য শিশুর অভিভাবককে আয়ের শংসাপত্রও দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও ন্যূনতম বা অধিক আয়ের কথা সরকারের তরফে বলা নেই।
আরও পড়ুন, Karmasathi Scheme : ব্যবসা খুলতে চান ? সুযোগ দেবে সরকার, কর্মসাথী প্রকল্পে কীভাবে আবেদন করবেন, জানুন
সরকারি হাসপাতালের মধ্যে রয়েছে এসএসকেএম, বি সি রায় মেমোরিয়াল হসপিটাল ফর চিলড্রেন এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ । বেসরকারি হাসপাতালগুলি হল কলকাতার আর এন টেগোর, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস এবং বি এম বিড়লা হাসপাতাল। এই হাসপাতালগুলি বিনামূল্য চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচার করবে শিশুর । পরিবর্তে তাদের বিল মেটাবে রাজ্য সরকার।
অফলাইনে যদি 'শিশু সাথী' প্রকল্পের সুযোগ সুবিধে পেতে চান, তার জন্য সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে । তার আগে জেলা স্বাস্থ্য অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে হবে । সেখানেই বুঝিয়ে দেওয়া হবে কী কী করতে হবে । আর অনলাইনেও আবেদনের সুযোগ রয়েছে । প্রথমে http://www.wbpublibnet.gov.in/node/1906 লিঙ্কে গিয়ে ক্লিক করতে হবে । তারপর ‘পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাথী যোজনা’ বিভাগে গিয়ে আবেদনপত্রে ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণ করে সব প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে অনলাইনে । আবেদনের ভিত্তিতে চিকিৎসার সুযোগ দেবে রাজ্য সরকার ।