কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তৃণমূলের নিন্দাপ্রস্তাবের খসড়া প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলার রাজনীতিতে। নিন্দা প্রস্তাবের খসড়ার ছত্রে ছত্রে ঝড়ে পড়েছে শাসকের ক্ষোভ। প্রস্তাবের খসড়ায় ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে শাসক দল। উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতাদের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অতি সক্রিয়তা নিয়ে সরব হওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু এইভাবে বিধানসভার অন্দরে প্রস্তাব আনার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
নিন্দা প্রস্তাবের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিধায়ক এবং নেতৃবৃন্দ, যাঁদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে, তাঁদের প্রতি নরম মনোভাব প্রদর্শন করছে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে শাসক দলের জনপ্রতিনিধি, নেতৃবৃন্দকে হয়রান ও গ্রেফতার করে রাজ্যে এক অস্থির বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে।’ পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একপেশে মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: ইডি-সিবিআইয়ের অতি-সক্রিয়তা রোধে নয়া প্রস্তাব তৃণমূলের, সোমবার বিধানসভায় থাকছেন মমতা
খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ও তার শাসক দল বিজেপি নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জয়ী হতে না পেরে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে, অগণতান্ত্রিক কায়দায় স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে পশ্চিমবাংলায় নির্বাচিত সরকার ও রাজ্যের বিধায়ক, মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধি, সরকারি আধিকারিক, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, দোকানদার, কৃষক, ছাত্র যুব-সহ সকল স্তরের শুভার্থীদের উপর বিভিন্ন কায়দায় একতরফা অত্যাচার করে যাচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, SSC দুর্নীতি থেকে গরুপাচার বা কয়লাকাণ্ডে সবকিছুতেই নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার। কয়লাকাণ্ডের দুর্নীতির আঁচ এসে পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও। সপরিবার কোর্ট-ঘর করে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতেই এমন এক প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল, মত রাজনৈতিক মহলের।