পুজোর আগে আরও একটা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উপহার পেতে চলেছে রাজ্য। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বিহারের মুজফফরপুর রুটে চলবে এই ট্রেন। অক্টোবর থেকেই এই নতুন রুটে পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। মাত্র ৬ ঘণ্টায় ৪৪৬ কিলোমিটার পথ নিয়ে যাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
রাজ্যে এখন ৬টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রুট চালু আছে। প্রতিবেশী রাজ্য, অসম, বিহার ও ওড়িশার সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতেই এই রুট তৈরি করা হয়েছে। এবার বিহারের সঙ্গে আরও একটি রুট বাড়ল এই রাজ্যের। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, বাংলায় এখনও পর্যন্ত কী কী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস রয়েছে।
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি
হাওড়া-পুরী
জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি
হাওড়া-পটনা
হাওড়া-রাঁচি
নিউ জলপাইগুড়ি-পটনা
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি
দেশের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯। প্রথম এই ট্রেন চালু হয়। সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে ভারতের রেলওয়ে ট্র্যাকগুলিতে একটি রুটে এর সর্বোচ্চ গতি ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। দিল্লি-আগ্রা রুটে এই গতিতে চলে বন্দে ভারত। আর দেশের অন্য ট্র্যাকগুলিতে গড় গতিবেগ ছিল ৮৪.৪৮ কিলোমিটার। চলতি বছর তা আরও কমিয়ে আনা হয় ৭৬.২৫ কিলোমিটার। মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি কেন্দ্র সরকারের কাছে RTI করে বন্দে ভারতের গতি জানতে চান। রেলমন্ত্রকের দাবি, ভারতের বিভিন্ন রেলওয়ে ট্র্যাকের কথা মাথায় রেখে গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
বন্দে ভারত কেন স্পেশাল
হাই স্পিড টেকনোলজি
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তৈরি করা হয়েছে গতিসম্পন্ন ইঞ্জিনের মাধ্যমে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এই ট্রেনের গতি অন্য ট্রেনগুলির থেকে বেশি
অ্যারোডায়নামিক ডিজাইন
এই ট্রেন অ্যারোডায়নামিক ডিজাইনে তৈরি করা। এর মুখ বায়ুর ঘর্ষণ কাটিয়ে দ্রুত ছুটতে পারে। গতিবেগ বাড়ানোর জন্যই এমন ডিজাইন করা হয়েছে।
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ
এই ট্রেন যাত্রী স্বাচ্ছন্দেও অন্য ট্রেনের থেকে এগিয়ে। এর কোচ, আসন, সব কিছুই যাত্রীদের সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে।
নিরাপত্তা
বন্দেভারত এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসও আছে এই ট্রেনে। আগুন লাগলে, তার প্রতিরোধ করা যাবে।
ইকো ফ্রেন্ডলি
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পরিবেশ বান্ধব বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম ফিচার্স আছে। যার মাধ্যমে বৈদ্যুতিন শক্তিকে একবার ব্যবহার করে, তা পুনরায় ব্যবহার করা যায়। শক্তির অপচয় রোধ করে এই ট্রেন।