বাবা বলেছিলেন, ছেলে শয়তান। তাঁর জীবন অতিষ্ঠ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মা বললেন অন্যকথা। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার রাজ্যের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সম্পর্কে মা বেলারানি সাহার মূল্যায়ণ, তাঁর ছেলে কষ্টে বড় হয়েছে, তাই জীবন অন্যকে কষ্ট দিতে পারেন না। এদিকে, ধৃত বিধায়কের উদ্ধার দুটি মোবাইল থেকে তথ্য সংগ্রহে তৎপর হল সিবিআই। মঙ্গলবার বিধানসভায় গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধায়ক গ্রেফতারের কথা জানিয়ে এলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকারিকরা।
এদিকে, এই ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, গ্রেফতারির আশঙ্কায় বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই নিরাপদ ফোন খুঁজছিলেন বিধায়ক। যেখানে তথ্য রাখলে, কোনও ভাবেই তা হ্যাক করা যাবে না। এই নিরাপদ ফোন তিনি পাননি। যার জেরেই বাড়িতে সিবিআই হানা দিলে দুটি ফোনই পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে জীবনকৃষ্ণের মা জানিয়েছেন, ছেলের যখন সাত বছর বয়স তখন থেকে তিনি আলাদা থাকেন। তাঁকে বিচ্ছেদ দিয়েছিলেন স্বামী বিশ্বনাথ সাহা। ১৭ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে প্রথম দেখা করেন জীবনকৃষ্ণ। ২৩ বছর বয়স থেকে মায়ের সঙ্গেই থাকেন। এক সময় বীরভূমের সাঁইথিয়া থেকে পাকাপাকি ভাবে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন জীবনকৃষ্ণ। সেই বাড়ি থেকেই সোমবার গ্রেফতার হন তিনি।