অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগ তুলেছিল শুল্ক দফতর । এই নিয়ে মামলাও হয় । তাও আবার দু'বছর আগে । এতদিন সেভাবে মামলা এগোয়নি । এবার ফের আইনি তৎপরতা দেখা শুরু করে শুল্ক দফতর । শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে । সেখানেই দু'বছরের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে শুল্ক দফতরের আইনজীবীদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় হাইকোর্ট । বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, “দু’বছর ধরে তদন্ত করছেন!অথচ,এখনও শেষ হল না!”
জানা গিয়েছে, দু'বছর ধরে এই মামলা সেভাবে অগ্রসর হয়নি । সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুল্ক দফতর। সেই মতো বৃহস্পতিবার বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠার কথা ছিল । কিন্তু কোনও কারণে তা বাতিল হয়ে যায় । শুক্রবার ফের মামলাটি কোর্টে ওঠে । গত দু'বছরে কত দূর তদন্ত এগোল,তাদু'বছরেও কেন তদন্ত শেষ হয়নি তা জানতে চায় কোর্ট । যদিও, এদিন মামলার শুনানি হয়নি কোর্টে । কেন্দ্রীয় সরকারের এক আইনজীবী জানান, দিল্লি থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আসতে পারেননি। অন্য মামলায় আটকে গিয়েছেন। তাই, মামলার শুনানি কয়েক দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক। আগামী ডিসেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টে উঠবে।
২০১৯ সালের ১৬ মার্চ গভীর রাতে ব্যাঙ্কক থেকে রুজিরা এবং মেনকাকে কলকাতা বিমানবন্দরে ২ কেজি সোনা-সহ পাকড়াও করা হয়। এমনই অভিযোগ তুলেছিল শুল্ক দফতর । যদিও তাঁরা এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এর প্রায় ৬ দিন পর তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে শুল্ক দফতর। পরে রুজিরা এবং মেনকাকে তলব করা হয় । এরপরই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেকের স্ত্রী এবং শ্যালিকা। প্রথমে একক বেঞ্চের রায়ে তাঁরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন। যদিও, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় শুল্ক দফতর । ২০২০ সালে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, রুজিরা ও মেনকাকে কিছু দিনের জন্য শুল্ক দফতরে হাজিরা দিতে হবে না । এরপর থেকে মামলা আর সেভাবে এগোয়নি । দু'বছর পর আবার এই মামলা নিয়ে নাড়াচাড়া করা শুরু করেছে শুল্ক দফতর ।