রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক দফতরে পুলিশ কেন ? রবিবার এই প্রশ্ন তুলে রাজ্য়ের মুখ্যসচিবের কাছে জবাব চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। তাতে দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর পার্টি অফিসের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ। সেই দলে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মহিলা পুলিশও। শুধু রাজ্যপাল নন, এই ঘটনায় টুইট করে প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, কোনও রকম সরকারি অনুমতি ছাড়াই, তাঁর নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে পুলিশ ঢুকেছে। এই ঘটনায় রাজ্যপাল এবং শুভেন্দুকে একযোগে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
টুইটারে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে পুলিশ হানা দিয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগের, তাই আমি মুখ্যসচিবের কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছি।’ তাঁর পোস্ট করা ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ নন্দীগ্রামের শুভেন্দুর বিধায়ক কার্যালয়ে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। কার্যালয়ের দায়িত্ব থাকা ওই ব্যক্তি পুলিশকে বলছেন, এই কার্যালয় থেকে কোনও দলীয় কাজ হয় না। কেবল মাত্র বিধায়ক পরিষেবার কাজ হয়।
তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “রাজ্যপাল এবং শুভেন্দু জুটি বেঁধেছেন। তাঁরা প্রশাসনের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আসলে শুভেন্দুর বরাবর ছিঁচকাঁদুনে স্বভাব। এখন অমিত শাহ তাঁর কথা শুনছেন না। তাই রাজ্যপালের কাছে নালিশ করছেন। এসব দেখেই বাংলার মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।”