বারাকপুরের একাধিক এলাকা ছেয়ে গিয়েছে পোস্টারে। যা ভাইরালও হয়েছে কয়েক মিনিটের মধ্যে। যেখান থেকে ইঙ্গিত মিলছে, পদ্ম সংসার ত্যাগ করে ফের ঘাসফুলে ফিরছেন সাংসদ অর্জুন সিং। তবে, এই ব্যাপারে এখনও কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই অর্জুনের তরফ থেকে। এমনকী এই পোস্টার তৃণমূলের কাজ বলেও অভিযোগ করেছেন। যদিও তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, তাদের উত্তরীয় গলায় নেওয়ার ব্যাপারে বারাকপুরের সাংসদের সিদ্ধান্ত কার্যত পাকা। এই ব্যাপারে তৃণমূলের ওই সূত্রের সঙ্গে কার্যত একমত জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ ভৌমিকও। তিনি জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত মানতে তিনি বাধ্য। তাই রবিবাসরীয় বাংলার রাজনীতিতে এখন চর্চা শুধু অর্জুনকে ঘিরে।
চট-বিদ্রোহ থেকেই অর্জুনের ঘরওয়াপসির একটা আন্দাজ পাচ্ছিল রাজনৈতিক মহল। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে তাঁকে তলবও করা হয়েছিল দিল্লিতে। শেষবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন অর্জুন। তাতে যে চিড়ে ভেজেনি, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে বিজেপিতে বারাকপুরের সাংসদ। তবুও রাজ্যের পাট শিল্পের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে গত কয়েকদিনে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধেই অলআউট গিয়েছেন। আর এই ঘটনায় যত দিন গড়িয়েছে, ততই কার্যত পরিস্কার হয়েছে অর্জুনের তৃণমূলে কামব্যাক করার পথ। কারণ, এই বিদ্রোহে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথম থেকেই পাশে চেয়েছেন তিনি। দাবি করেছেন, প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন।
দেখার বিষয় এটাই, কলকাতা না দিল্লি, তৃণমূলে কোথায় কামব্যাক করছেন অর্জুন। কারণ, তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিক থাকলে দিল্লিতেও তৃণমূলের পতাকা ফের হাতে তুলে নিতে পারেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ।