দু'জনের মধ্যে সেরা কে? এই তর্কে দু'ভাগ হয়ে যায় গোটা ফুটবলবিশ্ব। কিন্তু কান্না যেন মিলিয়ে দিল দুই কিংবদন্তীকে। মাঠ ছাড়তে ছাড়তে একজন কেঁদেছিলেন ইউরো কাপের ফাইনালে। তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ঠিক আট বছর পর। কোপার ফাইনাল। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন লিওনেল মেসি। ফাইনাল খেলতে না পারার কষ্টে তখন মেসির চোখেও জল। আর এই দুই কিংবদন্তীর চোখের জল যেন মিলিয়ে দিল দুই দলের সমর্থকদেরও।
ফিরে যাওয়া যাক, ২০১৬ সালের ইউরো ফাইনাল। ফাইনালের ৯ মিনিটের মাথায় চোট পান ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কিছুক্ষণ মাঠে ছিলেন তিনি। ২৫ মিনিটের মাথায় ফের চোট। এরপর আর খুব বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি। স্ট্রেচারে করে তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় তাঁকেই সব থেকে বেশি প্রয়োজন ছিল দলের। কিন্তু তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি। ওই সময় কেঁদে ভাসিয়েছিলেন পর্তুগালের সমর্থকরা। সব বাধা কাটিয়ে ওই বছর ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয় পর্তুগাল।
মাঝে আট বছর কেটে গিয়েছে। চলতি বছর কোপা ফাইনালে ঠিক একই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি। সেই বার ছিলেন রোনাল্ডো। আর এই বার মেসি। কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার ৩৬ মিনিটের মাথায় চোট পান লিওনেল মেসি। যন্ত্রণার চোটে কিছুক্ষণ মাঠে পড়ে থাকেন। কিছুক্ষণ পর খোঁড়াতে খোঁড়াতেই প্রথমার্ধ শেষ করেন। কিন্তু ৬৪ মিনিটের মাথায় দৌড়োতে গিয়ে পড়ে যান মেসি। আর খেলতে পারেননি তিনি। বেঞ্চে বসে কাঁদছিলেন।
ফাইনালে মেসি খেলতে পারবেন না। মেনে নিতে পারছিলেন না সমর্থকরা। তাঁদেরও দু গাল বেয়ে জল পড়ছিল। হেরে যাওয়ার ভয়ও যেন চেপে বসছিল। কিন্তু এযেন ২০১৬ সালের রিপ্লে। তাই শেষেও যেন সবটা মিলে গেল। মেসি ছাড়াই কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা। লাউতারো মার্তিনেসের গোলে ২০২৪ কোপা চ্যাম্পিয়ন হল কাতার বিশ্বকাপ জয়ী দল আর্জেন্টিনা।