মারাদোনাকে স্পর্শ। রোনাল্ডোকে স্পর্শ। মেক্সিকো ম্যাচের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপে মোট ৮টি গোল। ইতিহাস তৈরি হয় আগামীর জন্য। রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্য। চাপ ছিল, আশঙ্কা ছিল। বিদায়ঘণ্টাও বেজে গিয়েছিল। শনিবার মধ্যরাতে মেসির বাঁ পায়ের শট যখন জালে ঢোকে, তৈরি হয় মুহূর্ত। এবার বিশ্বকাপের বল আল রিয়েহলা যেন প্রাণ পায়। মেসির পায়ের স্পর্শে তৈরি হয় আবেগ। এক লহমায় কেঁপে ওঠে কোটি কোটি বুক।
ধারাভাষ্যে শোনা যায়, আরও একবার, হয়তো শেষ বার, আর্জেন্টিনার হয়ে লিওনেল মেসির গোল। সেই মুহূর্তে গায়ের রোম খাড়া হয়ে যায় সমর্থকদের। ২০২৬ মেসি হীন। আবেগ যেন দ্বিগুণ রেটে বেড়ে যায়। বিশ্বকাপ জয়ের সুপ্ত প্রত্যাশা চাগাড় দিয়ে ওঠে। গ্যালারিতে কেউ জামা খুলে ফেলে। কেউ কেঁদে ফেলে। কেউ কাছের মানুষকে জড়িয়ে ধরে। বুকের অলিগলিতে লিওনেল মেসির হাতে বিশ্বকাপ দেখার স্পর্ধা ছলকে ওঠে।
সবাই জানেন, মেসি একা। সবাই জানেন, মেসি সংযত, নিয়ন্ত্রিত। মেসি নিজে খেলেন, প্রতিভা অনুযায়ী সবটাই দেন। নিংড়ে যতটুকু প্রতিভা ৩৫ বছর বয়সে বের করা যায়, ততটুকুই দেন। দেশকে ভালোবাসেন যে খুব। কোপা আমেরিকা পেয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্লাব কেরিয়ার, সবই হয়ে গিয়েছে। এবার প্রয়োজন পোয়েটিক জাস্টিস। মধ্যপ্রাচ্যের রুক্ষ মরুপ্রান্তরে বিশ্বকাপ ফাইনালে কি শোনা যাবে ভামোস আর্জেন্টিনা! ওই দিন মেসির মুখে ওই তৃপ্তির হাসিটুকু দেখার স্বপ্ন নতুন করে শুরু করলেন আর্জেন্টিনার অনুরাগীরা।