গতবছর ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে জোড়া সেঞ্চুরি। এরপরই পিঠের চোটে কাবু হয়ে পড়েন শ্রেয়স আইয়ার। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিতেও ছিল না তাঁর নাম। ২৬ মে আইপিএল জিতে বোর্ড প্রেসিডেন্ট রজার বিন্নি ও সচিব জয় শাহের হাত থেকে ট্রফি তুলে নিলেন। দেড় মাস পর যেন নিজেকে নতুন করে মেলে ধরলেন নাইট অধিনায়ক। রঞ্জি না খেলে, আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন টিমের অধিনায়ক। তাঁকে নিয়ে কি নমনীয় হবে বিসিসিআই!
আইপিএলে অন্য অধিনায়কদের মধ্যে সবথেকে আন্ডাররেটেড ছিলেন শ্রেয়স। তাঁর নেতৃত্বে দিল্লি ক্যাপিটালস ফাইনালে উঠলেও কাপ জিততে পারেননি। আইপিএলে কলকাতাকে প্রথম ট্রফি এনে নিজেকেও অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সারিতে নিয়ে এলেন শ্রেয়স। বোলিং চেঞ্জ, স্ট্র্যাটেজি, ফিল্ডিং, সব কিছুতেই বাকি অধিনায়কদের টেক্কা দিলেন শ্রেয়স।
আইপিএলের আগেও চোট ছিল শ্রেয়সের। বেশ কিছু শট না খেলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ধীরে ধীরে নিজের ফিটনেসও ফিরে পেয়েছেন। খেলা আরও পরিণত হয়েছে। আইপিএলে গৌতম গম্ভীরের পর কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁর নেতৃত্বেই কাপ জিতেছে। ফাইনালের আগে বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ ঝরে পড়ে শ্রেয়সের গলায়। শ্রেয়স জানান, ছোট ফরম্যাট খেলতে তাঁর কোনও সমস্যা ছিল না। লম্বা ফরম্যাট খেলতে পারছিলেন না। সেটাই তিনি জানিয়েছিলেন বোর্ডকে। এবার বোর্ড নাইট অধিনায়ককে জাতীয় দলে ফেরায় কিনা, সেটাই দেখার।