বছর দশেক আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নিলাম টেবলে বসলে এই তিনটি বিষয়ের উপরেই জোর দিতেন দল মালিকরা। কারণ, তাঁরা বিশ্বাস করতেন যত বড় নাম, তত ভারী দল। নানা সময়ে নানা ধাক্কা খাওয়ার জেরে, সেই বিশ্বাস এখন ভেঙে গিয়েছে। তাই নাম নয়, দল মালিকদের কাছে ব্যাগ ভর্তি করতে ক্রিকেটার কেনার সময় মাথায় থাকে ওই ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যান।
এখানে কোন ভুল নেই ভারতীয় ক্রীড়ায় কর্পোরেট প্রভাব সব থেকে বেশি ক্রিকেটের উপরেই। তাই বেড়েছে পেশাদারিত্ব। আর এই পেশাদারিত্বের জেরেই ক্রিকেটার বাছাই করতে বসে দল মালিকরাও এখন অনেক সজাগ। অতীতে ভুল শুধরে ভাল দল তৈরি করতে যে রসদ প্রয়োজন, তার দিকেই এখন ঝাঁপাতে চান তাঁরা।
এবারের আইপিএলের নিলামে যার বড় উদাহরণ চেন্নাই সুপার কিংস। কম খরচেও যে ভাল দল তৈরি করা যায়, তা জেড্ডার টেবলে বসে বাকিদের বুঝিয়ে দিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। হয়তো আগামী বছর থেকে তিনি মাঠের বাইরে থেকেই চেন্নাইকে পরিচালনা করবেন। তার আগে, ঘরের দল গুছিয়ে নিলেন ধোনি।
উপমহাদেশের মাঠে ভারতীয় ক্রিকেটের বিলিয়ন ডলার ক্রিকেট। যেখানে দাপট থাকে ব্যাটারদের। এই টুর্নামেন্টে বেশ কিছু মাঠ থাকে যেখানে বোলারদের থেকে এগিয়ে শুরু করেন ব্যাটাররা। কিন্তু এবারের নিলামে দেখা গিয়েছে খানিকটা ব্যতিক্রমী ছবি। যেখানে বোলারদের জন্য খরচ হয়েছে ২৩২.৯০ কোটি।
এরমধ্যে, অর্শদীপ সিং ও যজুবেন্দ্র চাহালের আয় ১৮ কোটি টাকা। দল হিসাবে এবার বোলারদের পিছনে সবচেয়ে বেশি করছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি। মিচেল স্ট্রার্কদের জন্য দিল্লির খরচ হয়েছে ৪১.৪৫ কোটি টাকা। পিছিয়ে নেই রাজস্থানও। তাদের খরচ ৩২.৬০ কোটি টাকা।
এসবের মধ্যেই খোঁজ করল কলকাতার বাজেট নিয়ে। বোলারদের পিছনে কত টাকা খরচ করল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। দেখা যাচ্ছে, বোলারদের পিছনে কলকাতার খরচ ১৪.১৫ কোটি টাকা। দাবি করা হচ্ছে দল হিসাবে সবচেয়ে কম টাকা বোলারদের পিছনে ঢেলেছে নাইটরা।
এবারের নিলামে তোলা হয়েছিল ৫৭৭ জন ক্রিকেটারকে। এরমধ্যে ১০ ক্রিকেটারের আয় আনুমানিক ১৮০ কোটি টাকা। শুধু ব্যাটারদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ২১২.৫০ কোটি।