আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই শুরু হবে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি। জোর কদমে চলছে পার্থ টেস্টের নীল নকশা তৈরির কাজ। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারে সরফরাজ খান নাকি লোকেশ রাহুল? রোহিত শর্মার পরিবর্তই বা কে হবে?
এই পরিস্থিতিতে প্রথম টেস্টে পছন্দের ভারতীয় একাদশ বেঁচে নিলেন ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। ২০১৮-১৯ এবং ২০২০-২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের নেপথ্যে ছিলেন রবি শাস্ত্রী। আর তাঁর বিশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি পিচে যশস্বীর ওপেন করতে কোনও অসুবিধা হবে না।
এমনকি শাস্ত্রীর দৃঢ় বিশ্বাস, সফর যেমনই হোক না কেন, যশস্বী জয়সওয়াল অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে আরও পরিপূর্ণ ব্যাটসম্যান হয়ে ফিরবেন। আসলে শুভমানের সঙ্গে ওপেন করতে নামা লোকেশ রাহুল কিংবা অভিমন্যু ইশ্বরণ কেউই ভারতীয় 'এ' দলে তেমন সাফল্য পাননি। কিন্তু প্রথম ম্যাচে রোহিত না থাকায় লোকেশ রাহুলের সঙ্গে যশস্বীকে ওপেনিংয়ে দেখতে চাইছেন রবি শাস্ত্রী।
যশস্বী নিজের টেস্ট কেরিয়ার দুর্দান্ত ভাবে শুরু করেছেন। মাত্র ২১ বছর বয়সি এই বাঁ হাতি ওপেনার চলতি বছরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক চমৎকার সিরিজ খেলেছেন। ৭০০-ও বেশি রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে। আর মাত্র ১৪ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ১৪০৭ রান করেছেন যশস্বী। ফলে বোঝাই যাচ্ছে রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটি গড়ে ভারতের দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যশস্বী।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রোহিত শর্মা প্রথম টেস্টে অনুপস্থিত থাকবেন। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ রয়েছে যশস্বীর কাছে। যদিও অতিরিক্ত চাপের মধ্যে মাঠে নামতে হবে তাঁকে। দুর্দান্ত পারফর্মার যশস্বী। তবে, শুভমান গিল চোটের কারণে বাইরে রয়েছেন। ফলে মনে করা হচ্ছে রাহুলের সঙ্গেই ওপেন করবেন যশস্বী।
শাস্ত্রীর কথায়, 'আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়া সফর শেষ করার পর আরও ভাল খেলোয়াড় হয়ে ফিরবে যশস্বী। ইতিমধ্যেই সে বিশ্বমানের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই সেটার প্রমাণ। শুধু তাঁর ব্যাটিং নয়, খেলার প্রতিও তাঁর নিবেদন একেবারে স্পষ্ট।' এছাড়াও রবি শাস্ত্রী অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে আরও কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছেন।
শাস্ত্রীর কথায়, অস্ট্রেলিয়ার পিচে খেলতে গেলে ভারতকে কিছুটা বেগ পেতে হবে। বিশেষ করে পার্থের মতো স্থানে অতিরিক্ত বাউন্স হতে পারে। তবে তাঁর মতে জয়সওয়াল এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সে এই পিচে সহজেই রান তুলতে পারবে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আগেই বলেছেন, পার্থে ভারতের ট্রেনিং যেভাবে এগিয়েছে তা অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভালই উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
গিলক্রিস্ট অস্ট্রেলিয়াকে সাবধান হওয়ার কথা বললেও। দুই দলই বেশ প্রস্তুত বলেই জানা গিয়েছে, কারণ তিন দশকেরও বেশি সময় পর ফের এই দুই দেশের মধ্যে প্রথম পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলা হতে চলেছে। শেষবার এই ম্যাচ হয়েছিল ১৯৯২-৯৩ সালে।