যেটা হওয়ার ছিল না, কিন্তু সেটাই ঘটে গেল। শনিবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (Mca) মাঠে সব মুম্বইকে (Mumbai Indians) হারিয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি। তখনই এল খারাপ খবরটা। গুজরাতের (Gujrat) সানন্দের বাড়িতে প্রয়াত বোন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ক্রিকেট হর্ষল প্যাটেলের (Harsal Patel) বোন অর্চিতা প্যাটেল। কিন্তু শনিবার আর শেষ রক্ষা করা গেল না। অতএব মুম্বইকে হারানো আনন্দ বিষাদে পরিণত হল হর্ষলের জীবনে। এমনকী, অর্চিতার মৃত্যু সংবাদে শোকের ছাড়া ডুপ্লেসি-বিরাটদের বেঙ্গালুরু (Rcb) শিবিরেও। বোনের মৃত্য়ুর খবর পেয়েই ক্যাম্প ছেড়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন হর্ষল।
বাকি আর পাঁচটা ম্য়াচের মতো শনিবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও দুরন্ত ছিল হর্ষলের বোলিং। তাঁর বলেই আউট হন রোহিত শর্মা। আর রোহিত আউট হতেই ভেঙে পড়েছিল মুম্বইয়ের মিডল অর্ডার। বিনা উইকেটে ৬০ রান। এখান থেকে একসময় মুম্বইয়ের স্কোর ছিল ৫ উইকেট ৬৫ রান। পুনে থেকে মুম্বইয়ে দলের সঙ্গে টিম বাসে ফেরেননি হর্ষল। বাড়ি ফেরার অনুমতি চাওয়ায় তা দিতে দেরি করেনি আরসিবি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাড়ি পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
বিরাটদের পরের খেলা ১২ এপ্রিল। প্রতিপক্ষ ধোনি-জাডেজার চেন্নাই। আরসিবি সূত্রে খবর, তার আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন হর্ষল। তবে নিভৃতবাসের কারণে সেই ম্যাচে তাঁর খেলা হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। হর্ষলের বিষয়টিকে বিশেষ ঘটনা হিসেবেই দেখতে চায় আইপিএল কর্তৃপক্ষ। ফলে ফেরার পর তাঁকে নিয়ে কড়া মনোভাব না-ও দেখানো হতে পারে।
হর্ষলের বোনের খবর পেয়ে বেঙ্গালুরু শিবিরেও শোকের ছায়া। হাসিখুশি যে ক্রিকেটার দলকে সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখেন, তাঁর পারিবারিক বিপর্যয় শোনার পর সতীর্থরা সান্ত্বনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।