রোহিত শর্মা কি তবে পারছেন না! অ্য়াডিলেডে হারলে এই প্রশ্ন উঠবে, তা আগেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। দিন রাতের টেস্টে ১০ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পার্থে প্রথম টেস্টে জসপ্রীত বুমরার নেতৃত্বে দাপুটে পারফরম্যান্স করে টিম ইন্ডিয়া। তাই অনুরাগীদের জল্পনা, ব্রিসবেনে কি ফের টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন জসপ্রীত বুমরা! পাশাপাশি, আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে। ব্যাটিং অর্ডারে ছয় নম্বরে কেন নামছেন রোহিত! তৃতীয় টেস্টেও কি যশস্বপী-রাহুলকে জায়গা ছেড়ে দেবেন তিনি!
অ্যাডিলেড টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ওপেন করেন কে এল রাহুল ও যশস্বী জয়সওয়াল। মিচেল স্টার্কের প্রথম বলেই ফেরেন যশস্বী। আরেক ওপেনার রাহুল ৩৭ রানে ফেরেন। রাহুল ও যশস্বীর জন্য ওপেনিং পজিশন ছেড়ে দেন রোহিত শর্মা। কিন্তু প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে আসে ৬ রান। আগ্রাসী ব্যাটিং করে টিমের রানকে বুস্ট করাই রোহিতের কাজ। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে কেন ছয় নম্বরে নামবেন হিটম্যান! তাঁর এই ব্যাটিং অর্ডারের এই 'আত্মবলিদান' নিয়ে খুশি নন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
গত বছর থেকে নিজের খেলার ধরন বদলে ফেলেছেন রোহিত। এখন আরও বেশি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেন ভারত অধিনায়ক। আউট হলেও খেলার ধরন পালটান না। পার্থ টেস্টে ছিলেন না। অ্যাডিলেডে কামব্যাক করে রোহিতের কিন্তু সেই মানসিকতা দেখা যায়নি। প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রোহিতের ফের ওপেনই করা উচিত। সুনীল গাভাসকর মনে করছেন, অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে গতি ও বাউন্স থাকে। তাঁর মতে, ব্য়াটিং অর্ডারে নিজের জায়গায় ফিরে যাওয়া উচিত রোহিতের। পারথে রোহিত ছিল না। তাই রাহুল ওপেন করেছিল। অ্য়াডিলেডে ওই জুটি রান পায়নি। তাই আগামী টেস্টে ফের রোহিতের ওপেন করার উচিত বলে মনে করছেন গাভাসকর। তাঁর মতে, মিডল অর্ডারে নেমে আসুক রাহুল। একই সুর শোনা যায় রবি শাস্ত্রীর গলাতেও। তিনি জানান, রোহিতের শরীরী ভাষা দেখে মনে হয়েছে, ভয়ে ভয়ে খেলছেন। শাস্ত্রীর মতে, "ও যেমন নেতৃত্ব দেয়, তেমনটা দিতে পারেনি। ওকে খেলার মধ্যে ঢুকতে হবে। আমি চাই, ব্রিসবেনে ও ওপেন করুক।"
ব্রিসবেন টেস্টে যে টিম জিতবে, তারাই সিরিজে এগিয়ে যাবে। তাই তৃতীয় টেস্ট নির্ধারক হতে চলেছে। ওই টেস্টে কি জসপ্রীত বুমরা নেতৃত্ব দেবেন! অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথে অধিনায়ক কি বদল হবে! পার্থের মতো নেতৃত্ব দেবেন কি বুমরা! নেতৃত্বের চাপ মাথায় না থাকলে অনেক খোলামনে ব্যাটিং করতে পারবেন রোহিতও। এদিকে অ্যাডিলেড টেস্টে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় মহম্মদ সিরাজ ও ট্রেভিস হেডের। হেডকে আউট করার পর এগিয়ে যান সিরাজ। হেডও পাল্টা দেন। দুই ক্রিকেটারকেই জরিমানা করেছে আইসিসি। সিরাজকেকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। তার ফি-র ২০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। হেডকে শুধু একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। কোনও জরিমানা হয়নি তাঁর। একই অপরাধে দুজনকে কেন আলাদা শাস্তি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।