আইপিএলে গত মরশুমে সবথেকে সফল টিম। মেন্টর গৌতম গম্ভীরের হাত ধরে তৃতীয়বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআরের সাফল্যের পর জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গৌতম গম্ভীর। তাঁর পরিবর্তে মেন্টর হিসেবে এসেছেন ডোয়েন ব্র্যাভো। এবার মেগা নিলাম। কোন প্লেয়ারকে রাখবে, কাকে ছাড়বে! কেমন দল তৈরি করবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আইপিএল কমিটি প্লেয়ার ধরে রাখার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। কাদের প্লেয়ারকে ধরে রাখবে, তা জানাতে হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকেও। জল্পনা, অধিকাংশ নামী প্লেয়ারকেই ছেড়ে দেবে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। টিমের অন্দরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে আন্দ্রে রাসেলকে এবার ছেড়ে দিতে চাইছে কেকেআর। শুধু তাই নয়, অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও অনিশ্চিত। তাঁকেও ধরে রাখতে চায় না কলকাতা। অর্থাৎ, আগামী মরশুমে ইডেনে নতুন অধিনায়কের দায়িত্বে কেকেআর। তিনি কি ভারতীয় ক্রিকেটের কোনও বড় নাম! নাকি তরুণ কোনও তারকার কাঁধে থাকবে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজির। তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। বিভিন্ন রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এবার মেগা নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স চারজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারে। তালিকায় আছেন সুনীল নারিন, রিঙ্কু সিং। বরুণ চক্রবর্তী ও হর্ষিত রানাকেও ধরে রাখতে পারে কলকাতা। এই চারজন ছাড়়া আর কাউকেই রিটেনশন তালিকায় রাখার পরিকল্পনা নেই কলকাতার। ছেড়ে দেওয়া হতে পারেন মিচেল স্টার্ক, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, ফিল সল্ট, রহমাতুল্লাহ গুরবাজের মতো ক্রিকেটারকে।
রিটেনশন তালিকা ঘোষণা হওয়ার আগে একাধিক সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন রিপোর্ট উঠে আসছে। মেগা নিলামে অংশ নিতে চাইছেন অনেক মেগা তারকা। ঋষভ পন্থের একটি পোস্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিল্লি ক্যাপিটালসের রিটেনশন তালিকায় ঋষভ পন্থ থাকবেন, এটা ধরেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পন্থ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, "যদি নিলামে যাই, আমাকে কি কিনবে, নাকি কিনবে না! যদি কেনে, কত দাম উঠতে পারে।" ঋষভের এই পোস্ট নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রাজস্থান রয়্যালসের রিটেনশন তালিকা নিয়েও সন্দেহ আছে। যশস্বী জয়সওয়াল ও সঞ্জু স্যামসনকে ধরে রাখবে রাজস্থান। তবে যুজভেন্দ্র চাহাল, রিয়ান পরাগ, ট্রেন্ট বোল্টকে কি ধরে রাখবে রাজস্থান। জানা গিয়েছে ৬ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখবে রাজস্থান।
এখনও পর্যন্ত আইপিএল নিলামে ওঠেননি বেশ কিছু ক্রিকেটার। তালিকায় আছেন বিরাট কোহলি। ২০০৮ সালে প্রথমবার বিরাট কোহলিকে কিনে নেয় আরসিবি। কোনও নিলামে অংশ নেননি বিরাট। ২০০৮ সালে প্রথম নিলামে ৬ কোটি টাকা দিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে কিনে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। ২০১৬-২০১৭- এই দুই বছর চেন্নাই সুপার কিংস নির্বাসনে থাকাকালীন রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টসে খেলেন মাহি। কিন্তু ধোনিকে আর কখনও নিলামে তোলেনি সিএসকে। কলকাতার ঘরের ছেলে সুনীল নারিনও কখনও নিলামে ওঠেননি। ২০১২ সালে তাঁকে কিনে নেয় কেকেআর। তিনবার আইপিএলে মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের খেতাব পান নারিন। যে রেকর্ড অন্য কারও নামের পাশে নেই। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আইকনিক প্লেয়ার ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। তাঁকে কখনও ছাড়েনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজি। এরা ছাড়াও তালিকায় আছেন ঋষভ পন্থ, পৃথ্বী শ, রুতুরাজ গাইকোয়াড়। যাদের কখনও রিলিজ করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই খেলেছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তালিকায় আছেন জসপ্রীত বুমরা, কাইরন পোলার্ড, লাসিথ মালিঙ্গা, শন মার্শ।তবে এবার আইপিএল মেগা নিলামে অনেক মিথই ভাঙতে পারে। নতুন জার্সিতে দেখা যেতে পারে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে।
এদিকে দলের সব ক্রিকেটারকে রিলিজ করবে পঞ্জাব কিংস। রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করে আর্শদীপ সিং, স্যাম কুরান, কাগিসো রাবাদা, জিতেশ শর্মাদের কিনতে পারে পঞ্জাব। হেনরি ক্লাসেন ও প্যাট কামিন্সকে ধরে রাখতে পারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নিলামের আগে যে খবরের জন্য অপেক্ষা করছিল সবাই, তাও প্রকাশ্যে এসেছে। আগামী বছর আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে দেখা যাবে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে তাঁকে দলে রাখতে পারে চেন্নাই সুপার কিংস।