সত্য়িই সুখের নাম ক্রিকেট। রবিবারের দুবাই যেন মিলিয়ে দিল ২৬ বছর আগের লাহোরকে। গত কয়েক মাসে হয়তো খুব অল্প সময় ছিল যখন দু চোখের পাতা এক করতে পেরেছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের বাসিন্দরা। প্রায় খালি পেটে রাত কাটাতে হয়েছে শিশু থেকে বৃদ্ধকে। কী হবে ? কী ভাবে হবে ? এই সব প্রশ্নের জবাবই রবিবার দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে থেকে দিয়ে দিল দাসুন শনাকার শ্রীলঙ্কা। তাই আর পাঁচটা অন্য দিনের থেকে রবিবারের রাতের কলম্বো একেবারে ভিন্ন মেজাজে দেখা দিল। অন্যদিন হলে হয় কার্ফু, নয়তো সেনার বুটের ভারী শব্দ। কিন্তু রবিবাসরীয় রাতে যেন অকাল ক্রিসমাস নেমে এল শ্রীলঙ্কার রাজপথে। বাইক, পতাকায় ঢেকে গেল গোটা কলম্বো। আর দুবাইয়ে ট্রফি জয়ের পর লঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকা জানালেন, তাঁদের জয়ের অনুপ্রেরণার নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি। কারণ, একবছর আগে এই মাঠে শেষবার আইপিএল জিতেছিলেন ধোনি। আর সেই ম্য়াচেও চেন্নাই প্রথমে ব্য়াট করেছিল। সেই স্মৃতিকে আঁকড়েই এদিন পাকিস্তান বধ করল শ্রীলঙ্কা।
শনাকার অনুপ্রেরণা যখন ধোনি। তখন ম্যাচের নায়ক বিরাটের বেঙ্গালুরুর হাসারঙ্গা। গতবছর যখন সবাই মুখ ফিরিয়ে ছিল, তখন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে বাঁচাতে একমাত্র পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। সব বাধা পেরিয়ে কলম্বোয় দল পাঠিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিসিসিআই। আর সেই সিরিজ থেকেই উত্থান হয়েছিল হাসারঙ্গার। ভারতকে রুখে দিয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার। তারপরেই প্রথম আইপিএল খেলতে নেমে ইনাম হিসাবে হাসারঙ্গার ঝুলিতে এসেছিল প্রায় ১১ কোটি টাকা। তাঁর একটা ওভারেই পাকিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ হয়ে গেল।
এই অবস্থা থেকে শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়াবে। এই আশা করেন সুনীল গাভাসকর থেকে কেভিন পিটারসেন। শ্রীলঙ্কার এই জয়ে মাঠে হাজির থাকা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ও। সামনে বিশ্বকাপ আসছে। এশিয়া সেরা হয়েই মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা।