এই চিপকেই শেষবার সেঞ্চুরি করেছিলেন। তখন কোচ ছিলেন রবি শাস্ত্রী। বৃহস্পতিবার চিপকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিধ্বস্ত ব্যাটিং লাইন আপ। দিনের শেষে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াল টিম ইন্ডিয়া। ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ১৯৫ রানের পার্টনারশিপ করলেন তিনি। ৮০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান তোলে ভারত।
এদিন চিপকে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। স্পিনিং ট্র্যাকে ব্যাট করতে নেমে ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ। চার উইকেট পান হাসান মাহমুদ। ৬ রান করে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শূন্য রানে ফেরেন শুভমান গিল। ৬ রানে ফেরেন বিরাট কোহলি। তবে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে ছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে বড় রান করতে পারলেন না ঋষভ পন্থ। ১৬ রান করে ফেরেন কে এল রাহুল।
মাত্র ১৪৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। এরপরই বাংলাদেশের উপর জাঁকিয়ে বসেন রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১১৭ রানে ৮৬ রান করে অপরাজিত রবীন্দ্র জাদেজা। ১১২ বলে ১০২ রান করে অপরাজিত রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অশ্বিনের ইনিংসে ছিল, ১০টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি। একই সংখ্যক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি রবীন্দ্র জাদেজার।
ম্যাচের পর রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, "ঘরের মাঠে খেলা সব সময়ই স্পেশাল। এই মাঠে আমিও খেলতে ভালবাসি। এই মাঠেই শেষবার সেঞ্চুরি করেছিলাম। T20 টুর্নামেন্ট থেকে টেস্ট খেলতে এসেছি। তাই বেশ কিছু শট ব্যাটে ভাল এসেছে। চেন্নাইয়ের প্রথাগত পিচ। এই ধরনের পিচে বাউন্স হয়। বল মুভও করে। জাদেজা ক্রিজে থাকায় খুবই সাহায্য় হয়েছে। এদিন ম্যাচে গরমে ঘাম হচ্ছিল। ক্লান্ত লাগছিল। জাদেজা সেই সময় ভাল গাইড করেছে।"
শুক্রবার সকালে নতুন বলে খেলা হবে। বল সুইংও করবে। নতুন ভাবে শুরু অশ্বিন-জাদেজা জুটি কত রান তুলতে পারেন, সেদিকেই তাকিয়ে ভারত অধিনায়কও। ঘরের মাঠে সবথেকে বেশি রানের পার্টনারশিপ। শীর্ষে আছেন কপিল দেব ও সৈয়দ কিরমানি। ১৪ ম্যাচে ৬১৭ রান করেছেন তাঁরা। ১৪ ম্যাচে ৫৯৫ রান করে দ্বিতীয় স্থানে অশ্বিন-জাদেজা। দ্বিতীয় দিন এই রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার।