বিরাট কোহলি নট আউট ১৬। না কোনও স্কোর বোর্ডে নয়। ১৮ অগাস্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইশ গজে পূর্ণ হয়েছে তাঁর কেরিয়ারের ১৬ বছর। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর যে ক্রিকেট জার্নি শুরু হয়েছিল, তার একটা অংশ থেমেছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বেডোজে। ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন। তবে, সাদা বল ৫০ ওভার। আর লাল বলের সাবেক ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন।
অপ্রাপ্তি যেমন রয়েছে, তেমনই এই ১৬ বছরে প্রাপ্তির ভাঁড়ারও বেশ দীর্ঘ। যুব দলের অধিনায়ক হিসাবে তাঁর বিশ্ব জয় রয়েছে। ২০১১ সালে ভারতীয় সিনিয়র দলের সদস্য হয়ে প্রথম বিশ্বজয়ের স্বাদ। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মতো সাফল্য। কিন্তু অধিনায়ক বিরাট কোহলি, এই পর্বটা যেন তাঁর ক্রিকেট জীবনের এক চরম অপ্রাপ্তির জায়গা। ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হার এবং দীর্ঘ সময়ের পরেও বেঙ্গালুরুর জার্সিতে আইপিএল না জেতার ক্ষত।
তবুও, সচিন শৃঙ্ঘে প্রথম আরোহীর নাম বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম লক্ষ্মীভাণ্ডার আজ তিনি। সম্প্রতি মাঠ ও মাঠের বাইরের সম্পর্ক নিয়ে তাঁর কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন ভক্তরা। এবি ডেভিলিয়ার্স না মহেন্দ্র সিং ধোনি ? কে তাঁর সবচেয়ে বেশি কাছের ? ডাক করেননি কিং কোহলি। বরং বিরাট মনের কূটনৈতিক জবাব দু জনেই। আর আইপিএলে তাঁর সেরা প্রতিপক্ষের নাম কলকাতা নাইট রাইডার্স।