বিগত সমস্ত ম্যাচকে ছাপিয়ে গেল চলতি বিশ্বকাপের ভিউয়ারশিপ। এমনই জানিয়েছেন ICC-র মূখ্য বাণিজ্যিক অফিসার অনুরাগ দাহিয়া। তাঁর মতে, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এবং সোশাল মিডিয়ায় ট্রিমিং ভিউয়ারশিপ বেড়েই চলেছে। তবে টিভির ভিউয়ারশিপের ক্ষেত্রে প্রশ্নচিহ্ন তুলেছেন তিনি।
বিশ্বকাপের বিগত ম্যাচগুলির থেকে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল ম্যাচের ভিউয়ারশিপ ছিল সবথেকে বেশি। বুধবার সর্বোমোট ৫.৩ কোটি দর্শক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ওই ম্যাচটি দেখেছেন। পাশাপাশি সবথেকে বেশি সংখ্যক দর্শক একই সময়ে লগইন করেছেন।
এবিষয়ে অনুরাগ দাহিয়া জানিয়েছেন, TV এর ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মের দর্শক সংখ্যা আলাদা করে বোঝা তুলনামূলক কঠিন। তবে ডিজনি+হটস্টারের দেওয়া একটি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে প্রথম ৩৪টি ম্যাচ দেখার সময় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৪৪ বিলিয়ন মিনিট। এবং গড়ে টিভি দেখার সময় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে দর্শকপ্রতি ৫৬৮ মিনিট।
বিগত মোট ৩৪টি ম্যাচের লাইভ ব্রডকাস্টের সময় ভিউয়ারশিপ ৪৫০ মিলিয়নে পৌঁছে গিয়েছিল। এর পাশাপাশি ICC-র নিজস্ব ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ম্যাক্সভিউ-এর মাধ্যমেও প্রচুর দর্শক ডিজনি+হটস্টার ব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমেও ভিউয়ারশিপ অনেকটাই বৃদ্ধি হয়েছে।
যদিও ক্রিকেট বিশ্বকাপে প্রাপ্ত স্পনসরশিপ থেকে অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব পড়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে ICC-র তরফে নিয়েলসনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। আগামী দু থেকে তিন মাসের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দেবে তারা। বিগত বছরে লন্ডনের অর্থনীতিতে প্রায় ৩৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা জোগান দিয়েছিন ২০১৯ এর বিশ্বকাপ।