এ যেন মধুর প্রতিশোধ! যেন সারাজীবনের জেদ বৃহস্পতিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ডেভিড ওয়ার্নার। ৫৮ বলে দুর্ধর্ষ অপরাজিত ৯২ রান তো করলেনই। সেই সঙ্গে করে ফেললেন টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের হাফ সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড। টপকে গেলেন ক্রিস গেইলকে। এ দিন তিনি ৩৪ বলে অর্ধশতরান করেন। টি-টোয়েন্টিতে ওয়ার্নারের ৮৯টি শতরান হল। গেইলের রয়েছে ৮৮টি। আর ওয়ার্নারের ব্যাটে ভর করেই ২০ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তুলল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই রান তুলতে গিয়ে ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে ১৮৬ রানেই থেমে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ইনিংস। ম্যাচটি দিল্লি ক্যাপিটালস জিতল ২১ রানে।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে কেন উইলিয়ামসন ব্যাট করতে পাঠান দিল্লিকে। দিল্লি ব্যাট করতে নামলে, প্রথম ওভারেই বড় ধাক্কা খায় তারা। দলের শূন্য রানেই প্রথম উইকেট পড়ে যায়। দলের ওপেনার মনদীপ সিং ৫ বল খেলে ০ করে আউট হন। এর পর মিচেল মার্শও ৭ বলে ১০ করে সাজঘরে ফেরেন। তখন দলের রান মাত্র ৩২।
৪.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। কিন্তু শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন দলের আর এক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁকে কিছুটা সঙ্গত করার চেষ্টা করেছিলেন দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। কিন্তু তিনি ১৬ বলে ২৬ করে আউট হলে নামেন রভম্যান পাওয়েল। এর পর ওয়ার্নার এবং পাওয়েল মিলে ঝড় বইয়ে দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নামলে দলের ৩৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে হায়দরাবাদ। অভিষেক শর্মা ৬ বলে ৭ করে আউট হন। উইলিয়ামসন করেন ১১ বল খেলে মাত্র ৪ রান। রাহুল ত্রিপাঠি ১৮ বলে ২২ করে আউট হন। তখন দলের হাল ধরেন এডেন মার্করাম এবং নিকোলাস পুরান।
রাহুল, মার্করাম আর পুরানকে বাদ দিলে হায়দরাবাদের বাকি প্লেয়াররা তো কেউই দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছতে পারেননি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৬ করে উইলিয়ামসনের টিম। দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জেতে দিল্লি।
এ দিকে পরপর তিন ম্যাচ হেরে চাপে পড়ে গেল হায়দরাবাদ। তারা পয়েন্ট টেবলের ছয়ে নেমে গেল। আর হায়দরাবাদকে হারিয়ে অক্সিজেন পেল দিল্লি। তার উইলিয়ামসনদের টপকে পাঁচে উঠে এল।