ডর্টমুন্ডের জয়ের নেশায় বুঁদ এখন লন্ডন। এই প্রথম বিদেশে মাটিতে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে জয়। এই প্রথম পর পর দু বার ইউরো কাপে ফাইনালে ওঠা। এই সব নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে এক অবাক বিস্ময় ব্রিটিশদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই প্রথম সারির দৈনিকগুলি হ্যারি বন্দনা শুরু করে দিয়েছে। প্রাক্তনরা দাবি করছেন, ১৯৬৬ ভুলিয়ে ফের বার্লিন থেকে কাপ নিয়ে ফিরবেন সাকা, ওয়াকাররা। রবিবার ফাইনালের আগে আরও একবার ফিরে দেখা এই ইউরোয় ইংল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার পথকে।
জুড বিলিংহ্যামের গোল থেকেই এবারের ইউরো শুরু গতবারের রানার্স ইংল্যান্ডের। কিন্তু গ্রুপের ম্যাচে এরপর পর পর ধাক্কা। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে হারা ম্যাচ বাঁচিয়ে ড্র। আর স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে আরও লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়া।
নক আউটের দৌড়েও প্রথম ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে হার বাঁচিয়েছে ইংরেজরা। এক গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় দেশকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন হ্যারি কেন এবং সেই জুড বিলিংহ্যাম। কোয়ার্টার ফাইনালে আরও কঠিন লড়াই। প্রতিপক্ষ সুইৎজারল্যান্ড। ১২০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের ফল ১-১। এরপর ইংলিশ গোলকিপার জর্ডন পিকফোর্ডের হাতে স্বস্তি।
তবে, পন্ডিতদের মতে এই ইউরোয় ডাচদের বিরুদ্ধে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে ব্রিটিশরা। নেদারল্যান্ডসকে হারাতে তাদের কৌশলেই খেলছেন গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা। প্রথমে হ্যারি কেন ও তারপর সুপার সাব ওলে ওয়াটকিন্স। ডর্টমুন্ড জয়ের পর বার্লিন এখন পাখির চোখ ব্রিটিশদের।