প্রায় ১২ বছর পর । লাল রঙে রাঙল ইউরো । ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো কাপ হাতে তুলে নিলেন স্পেনের যোদ্ধারা । সেই ইতিহাসের সাক্ষ্মী থাকল গোটা স্টেডিয়াম । ম্যাচ শেষে মাঠে টুকরো টুকরো মুহূর্ত হল ফ্রেমবন্দী । কখনও ট্রফি হাতে স্পেন দলের উল্লাস, কখনও স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ মেতে উঠছেন তাঁরা । আর এসবের মধ্যেই নজর কাড়লেন একজন । তিনি রদ্রিগো হার্নান্দেস কাসকান্তে ওরফে রদ্রি । ম্যাচ শেষে যখন সবাই হই-হুল্লোড় করছেন, তখন তিনি শান্ত । তাঁর চোখে -মুখে অদ্ভুত প্রশান্তি যেন । জয়ের প্রশান্তি । মাঠের এককোণে দাঁড়িয়ে জয়ের মুহূর্তটাকে একাই উপভোগ করলেন ।
দলের সেরা অস্ত্র রুদ্রি । এমনটাই মনে করেন দলের কোচ । রদ্রি ছাড়া দলের একাদশ ভাবাই যায় না । স্পেনের কোচ লুই দে লা ফুয়েন্তে জানিয়েছেন, ও যেন একটা কম্পিউটার। সব কিছুতে নজর। এমন কিছু নেই যেটা ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না । ইউরো-তে প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্টের খেতাব পেয়েছেন রদ্রি । কিন্তু, দেখা গিয়েছে, গোটা ইউরোয় ৬টি ম্যাচে ৫২১ মিনিট খেলেছেন। একটি গোল করেছেন। একটি ম্যাচে নির্বাসিত ছিলেন । একটি ম্যাচে তাঁকে খেলানো হয়নি । তারপরেও তিনি সেরার সেরা কীভাবে ?
রদ্রির নিখুঁত পাসিং ৯২.৮৪ শতাংশ। ২৮টি লম্বা পাসের মধ্যে ২৬টিই পড়েছে সতীর্থের পায়ে । ৩৩ বার বল ছিনিয়ে নিয়েছেন প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পা থেকে । এছাড়া, মাঝমাঠে থেকে রদ্রি গোটা খেলাটা পরিচালনা করেন। অর্থাৎ তিনি সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ।
ওপেন ফুটবল খেলেই ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে স্পেন। শুরু থেকেই বন্ধ করে দেন সাকা-বিলিংহ্যাম এবং ফোডেনের এই ত্রিবেণী সঙ্গমকে। ইংলিশ এই ত্রিফলার সামনে একাই দূর্গ হলেন রডরিগো। সার্পোট হিসাবে পাশে পেয়ে গেলেন ড্যানি ওমলোকে। ইংলিশ ডিফেন্সকে আগাগোড়া নাস্তানাবুদ করলেন ইয়ামাল, উইলিয়ামস এবং রুইসরা। লুক শ এবং কাই ওয়াকারের বয়স হার মানল স্প্যানিস তারুণ্যের সামনে।
বার্লিন মনে রাখবে একটাই নাম ১৭ বছরের লেমেনি ইয়ামালকে। সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসাবে ইউরো কাপ জয়ের নজির গড়েছেন এই ফুটবলার। পুরস্কৃত হয়েছেন সেরা উদীয়মান ফুটবলার হিসাবে।