দুই কুলিনের যুদ্ধ। ইউরোর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডর্টমুন্ড তৈরি ইংল্যান্ড বনাম নেদারল্যান্ডসের লড়াই দেখার জন্য। ইংরেজদের কাছে সুযোগ পর পর দু বার ফাইনালে ওঠার। আর এই ম্যাচের আগে গ্যাকপোদের ১৯৮৮ সালের গল্প শোনাচ্ছেন ডাচ কোচ রোনাল্ড কোম্যান। জার্মানির মাঠ থেকে সেবার রাশিয়াকে হারিয়ে ইউরো কাপ ঘরে তুলেছিল হল্যান্ড।
ইতিহাস বলছে, ২০১৯ সালে শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ডাচরা। তারপর পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। ফুটবল পন্ডিতদের মতে, এই ম্যাচ হবে নেদারল্যান্ডসের আক্রমণের বিরুদ্ধে ইংলিশ ডিফেন্ডারদের লড়াই করার। কারণ, তুরস্ক ম্যাচে ডাচেরা দ্বিতীয়ার্ধে যে ঝড় তুলেছিলেন তাতে সতর্ক ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ম্যাচে আগে তিনি জানিয়েছেন, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে তাঁর রক্ষণ জমাট থাকবে। প্রথম একাদশ অপরিবর্তিত রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
উল্টোদিকে, ডাচরা তৈরি ডর্টমুন্ডকে এক সেরা ম্যাচ উপহার দিতে। কোচ কোম্যানের দাবি, এই ইউরোর সেরা খেলাটা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে তাঁর দল। চোটাঘাতের কোনও খবর নেই নেদারল্যান্ডস দল। ইংলিশ ডিফেন্ড ভেদ করতে এই ম্যাচেও অস্ত্র সেই গ্যাকপো।
তবে এই ম্যাচে নজর থাকবে আরও একজনের দিকে। তিনি জুড বিলিংহ্যাম। যিনি এই ইংল্যান্ড দলের প্রাণভ্রমরা। সাকার সঙ্গে তাঁর বোঝাপরাই এই ম্যাচের পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে বলে মনে করছেন প্রাক্তনরা। সবমিলিয়ে ডর্টমুন্ড তাল ঠুকছে, আরও এক মহাযুদ্ধে। যেখানে কমলা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে থ্রি লায়ন্সকে।