মনে থাকবে একটাই নাম। লেমেনি ইয়ামাল। রবিবাসরীয় বার্লিনে ইউরো ফাইনালে রাতে ছাপ রেখে গেল ১৭ বছরের এই ছেলেটা। দ্বিতীয়ার্ধ। ম্যাচের বয়স সবে ৪৭ মিনিট। ইংলিশ ডিফেন্স চিড়ে ছোট্ট ইয়ামালের বাঁ-পা থেকে মেঘ পিওনের মতো বেরিয়ে এল গোলের ঠিকানা লেখা একটা পাস। বন্ধু নিকোর উইলিয়ামসকে বলটা যেখানে সাজিয়ে দিলেন, সেখান থেকে শুধু গোলই হয়। আর সেটাই হল। ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১২ বছর পর ইউরো কাপ জিতল স্পেন। জার্মানিকে ছাপিয়ে এই নিয়ে রেকর্ড চার বার।
অ্যাডলফ হিটলারের তৈরি বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইউরোর ফাইনালে যা হল, সব পরের প্রথম ৪৫ মিনিটে। প্রথম ৪৫ মিনিটে একে-অপরকে দেখেই মাঠ ছাড়াল ১২ বছর পর ফাইনালে ওঠা স্পেন আর পর পর দু বার ফাইনালে জায়গা পাকা করা ইংল্যান্ড। তবে শুরু থেকে দাপট ছিল লা রোজার। তিকিতাকার ক্যানভাসে পুরো ৯০ মিনিটে স্পেন পাস খেলেছে ৫৪৫টা।
এই টুর্নামেন্টে গোল খেলেই ইংল্যান্ড গোল করে। ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হল না। ম্যাচে ৭৩ মিনিটে ২১ গজ দূর থেকে দেশকে সমতায় ফেরান বদলি হিসাবে মাঠে নামা কোল পারমার। তাতেও ঠেকানো গেল লুইস দেলা ফন্তের স্প্যানিস তুর্কীদের। ৮৬ মিনিটে কাপ মাদ্রিদ নিয়ে যাওয়ার জন্য আসল কাজটা করলেন এই ম্যাচে স্প্যানিস অধিনায়ক অ্যালভারো মোরাতার বদলি মিকেল ইয়ারাবাল। এবার পাস এল দলের লেফট ব্যাক কুকুরেলার কাছ থেকে।
ওপেন ফুটবল খেলেই ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল স্পেন। শুরু থেকেই বন্ধ করে দিল সাকা-বিলিংহ্যাম এবং ফোডেনের এই ত্রিবেণী সঙ্গমকে। ইংলিশ এই ত্রিফলার সামনে একাই দূর্গ হলে রডরিগো। সার্পোট হিসাবে পাশে পেয়ে গেল ড্যানি ওমলোকে। ইংলিশ ডিফেন্সকে আগাগোড়া নাস্তানাবুদ করলেন ইয়ামাল, উইলিয়ামস এবং রুইসরা। লুক শ এবং কাই ওয়াকারের বয়স হার মানল স্প্যানিস তারুণ্যের সামনে।
বার্লিন মনে রাখবে একটাই নাম ১৭ বছরের লেমেনি ইয়ামালকে। সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসাবে ইউরো কাপ জয়ের নজির গড়লেন এই ফুটবলার। পুরস্কৃত হলেন সেরা উদীয়মান ফুটবলার হিসাবে। টুর্নামেন্টের সেরা স্পেনে রডরিগো। ২০২৬ সালের আগে দুনিয়া দেখল এক নতুন স্পেনকে। সৌজন্যে ৬৩ বছরের এক হেডস্যর। নাম লুইস দেলা ফন্তে।