রবিবার রাতে ইউরোর ফাইনাল। মাঠে নামছে স্পেন এবং ইংল্যান্ড। ঐতিহাসিক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে খেলা হবে ওই ম্যাচ। কার হাতে উঠবে ইউরোর ট্রফি? ফয়সালা হবে আজ রাতেই। কিন্তু অলিম্পিক স্টেডিয়াম ঐতিহাসিক কেন?
এর পিছনে রয়েছে এক অজানা কাহিনী। শোনা যায় জার্মানরা অবশ্য সেই কাহিনী আর মনে করতে চান না। কী ঘটেছিল? ১৯৩৬ সালে মৃত্যু হয়েছিল প্রেসিডেন্ট পল ভন। তারপরেই জার্মান রাষ্ট্রের নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন অ্য়াডল্ফ হিটলার। তারপর থেকেই ইহুদিদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছিল। দেশের মানুষের করা যে কোনও বিরুদ্ধমত একপ্রকার নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এরপর এই সবকিছুর মাঝেই সেই বছরই অলিম্পিকের আসর বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বার্লিনে। যদিও ইহুদিরা তার বিরোধিতা করেন। চেয়েছিলেন সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক অলিম্পিকের আসর। যদিও হিটলার বুঝতে পেরেছিলেন, ইহুদিদের উপর অত্যাচারের কারণে তাঁর ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে। সেই কারণে ভাবমূর্তি উদ্ধারে বার্লিনেই অলিম্পিকের আসর বসানোর উদ্যোগী হন তিনি। আর তারপরেই তৈরি করা হয়েছিল অলিম্পিক স্টেডিয়াম।
প্রায় ২৬০০ কর্মী দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করেছিলেন ওই স্টেডিয়াম। ইতিহাসের পাতায় উল্লেখ রয়েছে, রোমের চোখ ধাঁধানো স্থাপত্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল ওই স্টেডিয়াম। এবং শেষ অবধি সফলভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল অলিম্পিকের।
যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চিত্রটা পুরোপুরি বদলে যায়। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল জার্মানি। অলিম্পিক স্টেডিয়াম রক্ষা পেলেও ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল। তারপর ১৯৪৬ সালে ফের মেরামতি করা হয়েছিল ওই স্টেডিয়াম। এবং তারপর ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদর দফতর ছিল ওই সেখানেই। এর আগে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপও হয়েছে ওই মাঠে। ফের আজ অর্থাৎ রবিবার মাঝরাতে ঐতিহাসিক মাঠেই হবে ইউরোর ফাইনাল।