লুসেইল স্টেডিয়াম । বিশ্বকাপের (Fifa World Cup 2022) মেগা ফাইনাল । মাঠে কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe) । মেসিদের (Messi) বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন । তখন অন্যদিকে, এক পানশালায় উঠছে স্লোগান ‘এমবাপে ভু জ্যাত নত্র এরো’ (এমবাপে আমাদের নায়ক), ‘নুজ্যালঁ গাঁইয়ে’ (আমরাই জিতব)। কিন্তু, মেসি ও দি মারিয়া গোল করতেই সব চুপচাপ । কিন্তু, দ্বিতীয় হাফে ফ্রান্সের নায়ক হলেন এমব্যাপে । হ্যাট্রিক করতেই আবার সেই পানশালায় স্লোগান উঠল 'এমবাপে ভু জ্যাত নত্র দিউ’ (এমবাপে আমাদের ভগবান)!' এ ছবিটা কিন্তু ফ্রান্সের নয়, বাংলারই বুকে ঘটল এমন ঘটনা । বাঙালিদের মুখেই শোনা গেল ফরাসি ভাষার স্লোগান ।
এ ছবিটা চন্দননগরের । কিন্তু, ফরাসি জমানার পানশালা ‘রেস্তরাঁ দে চন্দননগর’(Chandannagar)-এ দেখা গেল ফ্রান্স সমর্থকদের উচ্ছ্বাস । শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স জেতেনি ঠিকই, কিন্তু চন্দননগরের ফ্রান্স সমর্থকরা ‘নায়ক’ এমবাপের নামে জয়ধ্বনি দিয়েই গেলেন। অবশ্য সবাই ফ্রান্সের সমর্থক নন। অনেকে আর্জেন্টিনা, সর্বোপরি মেসির ভক্ত। তবে চন্দননগরে ফরাসি প্রেমই বেশি । বিশ্বকাপ উপলক্ষে চন্দননগরের অলি-গলিতে ফ্রান্সের পতাকাই বেশি । এমনকি, এমবাপে মিষ্টিও তৈরি করেন এক দোকানদার । একসময়ে ফরাসিরা চন্দননগর শাসন করত। ফ্রান্সের আদলেই তখন সজানো হয়েছিল চন্দননগরকে। এখনও চন্দননগরের মানুষের মনে এখনও ফ্রান্সের প্রতি ভালোবাসা রয়ে গিয়েছে। আর তাই বিশ্বকাপ মহাযুদ্ধে মেসি গোটা বাংলার ভালবাসা পেলেও চন্দননগর তথা এক সময়ের ফরাসডাঙা হয়ে উঠেছিল যেন একটুকরো ফ্রান্স ।
আরও পড়ু, Lionel Messi- Sachin Tendulkar: ১১ বছরের আগের স্মৃতি উসকে দিল মেসি, ভাইরাল দুই ১০ নম্বর জার্সির গল্প