এটা কোথায় ? বুয়েন্স আয়ার্স নাকি দোহা ? সোমবার বিকেলের খানিকক্ষণের জন্য সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছিল। সবার হাতে নীল-সাদা পতাকা। এক আকাশের নীচে মারাদোনা আর মেসির ছবি। এক পলকে দেখলে মনে হচ্ছিল, এ দোহা নয়। বরং বুয়েন্স আয়ার্স। সোমবার এ ভাবেই জাতীয় দলকে সমর্থন জানাতে দোহার পথে নেমেছিলেন হাজারের বেশি আর্জেন্টাইন সমর্থক। সবাই যে আর্জেন্টিনা থেকে এসেছেন, তা নয়। এই দলে মিশে ছিল মার্কিন থেকে ইরাকি এমনকী কাতারিও।
আজ বিশ্বকাপে মেসি-ম্য়াচ। সবার প্রিয় লিওর শেষ বিশ্বকাপ। তাই আর্জেন্টাইনদের যেমন আবেগ আছে, তেমনই আবেগ পাওয়া গেল আহমেদের গলাতেও। বাগদাদের বাসিন্দা, পেশায় স্কুল শিক্ষক আহমেদ। শুধুমাত্র মেসির টানে চলে এসেছেন কাতারে বিশ্বকাপের ম্য়াচ দেখতে। একসময় তিনি ছিলেন মারাদোনার ভক্ত। এখন তিনি মেসির ভক্ত। এভাবেই হয়তো বদলে গিয়েছে আর্জেন্টিনার ফুটবল। আর এভাবেই হয়তো সবার মনে থেকে যাবেন মেসিও।
কিন্তু কাতার বিশ্বকাপকে ঘিরে ফিফার গেরো যেন কাঁটছে না। স্বাদে কী আর ফিফা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি পাগল হয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবারও কাতারে আয়োজকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ অনলাইন টিকিট অ্য়াপ বসে যাওয়ার। ফলে ইংল্যান্ড বনাম ইরান ম্য়াচে মাঠে গিয়েও ফিরতে হয়েছে বেশ কয়েক শো সমর্থককে। তাঁদের কাছে টিকিট থাকা সত্ত্বেও অ্য়াপ খারাপ হওয়ায় সেই টিকিট আর স্ক্যান হয়নি।