২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। শেষ ম্যাচে হারার পর অবশেষে প্রথম একাদশের একাধিক ফুটবলারকে ছাড়াই পেরুর বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ালেন লিওনেল মেসিরা। এদিনের জয় খুব সহজ ছিল না। তবুও শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ।
এদিনের ম্যাচে প্রথম থেকেই সুযোগ তৈরি করেছে লিওনেল স্কালোনির দল। বল পজিশনে বেশ এগিয়ে ছিল কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা। তবে, আর্জেন্টিনার গোল লক্ষ্য করে কোনও শটও নিতে পারেননি পেরুর ফুটবলাররা। কিন্তু উলটো দিকে পেরুর জালে বল জড়িয়ে দেওয়াও মোটেই সহজ ছিল না মেসিদের পক্ষেও।
তবে, শেষ পর্যন্ত অপেক্ষার অবসান হয় ম্যাচের ৫৫ মিনিটে। বাঁদিক থেকে বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢোকেন মেসি। এরপরেই তাঁর দুর্দান্ত ম্যাজিক। মেসির অ্যাসিস্টে লাওতারো অনবদ্য স্করপিয়ন কিক। ফলে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দিলেন তিনি। আর এই গোলই পার্থক্য গড়ে দিল ম্যাচে। জয় এল আর্জেন্টিনার ঝুলিতে।
পেরুর বিরুদ্ধে এই গোলের ফলে দেশের জার্সিতে ৩২তম গোল করে দিয়েগো মারাদোনাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন লাউতারো। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের একটা ম্যাচ হেরে গেলেও মোট ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকার গ্রুপে সবার সামনে চলে এল আর্জেন্টিনা। ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপে নিজেদের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলল লিওনেল মেসির দল।
অন্যদিকে, ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ফের হোঁচট খেল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আর্জেন্টিনার জয়ের দিনই আটকে গেল ব্রাজিল। বাছাই পর্বের এই ম্যাচে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করে মাত্র ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে নেমে গেল ব্রাজিল। ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা আরও কিছুটা কঠিন হয়ে গেল ব্রাজিলের কাছে।
এদিনের ম্যাচে প্রথম থেকেই প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষ উরুগুয়েকে চাপে রাখছিল ব্রাজিল। বারবার গোলের সুযোগ এলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল। এমনকি মোট সাতটা শট নিয়ে মাত্র একটি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেন ভিনিসিয়ুসরা। ম্যাচের ৬১.৫ শতাংশ সময় ব্রাজিল নিজেদের দখলে রেখেছিল বল। কিন্তু বিশেষ কোনও সুবিধা পাওয়া যায়নি। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে গোল করে উরুগুয়ে। এরপর সমতা ফেরায় ব্রাজিল।
কিন্তু সমতা ফিরিয়েও কোনও লাভ হয় না। পর পর দুটি ম্যাচ ড্র হওয়ার ফলে পিছিয়ে যায় ব্রাজিল। ফলে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলের বাছাইপর্বে পয়েন্ট তালিকায় নিচে নেমে গেল ব্রাজিল। ১২ ম্যাচে ব্রাজিলের প্রাপ্ত পয়েন্ট ১৮। চোট ও ফিটনেসের কারণে মাঠে নেই নেইমার। নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না ভিনিসিয়াসরাও। ফলে বেশ খানিকটা চাপেই রয়েছে দল। অন্যদিকে, এই ম্যাচ ড্রয়ের ফলে ২০ পয়েন্ট আসে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ের ঝুলিতে।