বার্সেলোনা। স্প্যানিশ ফুটবলে অন্যতম নাম। শতাব্দী প্রাচীন ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবে কারা খেলেননি! বিশ্ব ফুটবলের সেরা কিংবদন্তিরা এই ক্লাবের জার্সি গায়ে পরেছেন। ১৯৯১ সালে এই ক্লাবে কোচ হয়ে আসেন ডাচ কিংবদন্তি জোহান ক্রুয়েফ। সেবার প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিল বার্সেলোনা। এরপর অনেক সোনালি অধ্যায় এসেছে। কিন্তু লিওনেল মেসি বিদায় নেওয়ার পর যেন ভেসে গিয়েছিল বার্সেলোনা। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফের স্বপ্ন। যেন রূপকথার মতো ফিরে এসেছে কাতালানের ক্লাব। তাঁর নেপথ্যে জাভি হার্নান্দেজ।
লা লিগায় ২৭বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বার্সেলোনা। কোপা ডেল রে কাপ জিতেছে ৩১বার। কোপা দে লা লিগা দুবার জিতেছে। আর ৩৪বার স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছে বার্সা। এছাড়াও ক্লাবের নামের পাশে আছে অসংখ্য ট্রফি। তিনবার ক্লাব বিশ্বকাপও জিতেছে বার্সা। এই ক্লাবে খেলে গিয়েছেন জোহান ক্রুয়েফ, ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ড, রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, স্যামুয়েল এটোর মতো ফুটবলার। ২০০৫ সাল থেকে সিনিয়র টিমে খেলেছেন লিওনেল মেসি। মেসি, নেইমার, সুয়ারেজ, তিন ফুটবলারের যুগে নতুন করে সাফল্যের চূড়া ছুঁয়েছে বার্সেলোনা।
বার্সেলোনার বর্তমান কোচ হানসি ফ্লিক। বার্সেলোনার নতুন করে উত্থানের পর তাঁকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু দলের প্রাক্তন কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি কিন্তু তেমন মনে করছেন না। অঁরির মতে, বার্সেলোনার এই উত্থানের নেপথ্যে আছেন জাভি। জাভি যা করেছেন, সেটাই ফলো করেছেন। কুবারসি, লামাইন ইয়ামালের মতো ফুটবলারকে সুযোগ দেন জাভি।
জাভি বার্সেলোনা থাকাকালীন এই সাফল্য আসেনি। কিন্তু সেই সময় থেকে ভিত তৈরি হয়েছে। এবার লেওয়ানোডস্কি, ইয়ামালদের হাত ধরে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন সমর্থকরা। অঁরির মতে, "জ়াভি চলে গিয়েছে, ফ্লিক এসেছে। কিন্তু আমার মনে হয় ২ বছর জাভি বার্সেলোনার কঠিন সময় কাটিয়ে গিয়েছে। এই টিম অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের দাবিদার।" অঁরির আশা, এবার বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারবে।