বিয়াল্লিশ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে গেল বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থানের ম্যাচ। খালিফা ইন্টার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এই বিশ্বকাপের বিস্ময় মরক্কোকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১৯৯৮ সালের পর ফের বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়ে শেষ করল ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের সাত মিনিটে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন গোয়াডিওল। ২ মিনিটের মধ্যেই গোল শোধ করে দেয় মরক্কো। এই ম্যাচে মারাকাস এক্সপ্রেস সমতায় ফেরে ডিফেন্ডার আসরফ দারির গোলে। এর মধ্যেও দু দল একাধিক সুযোগ পায়। কিন্তু দুই প্রহরী ইয়াসিন বুনো এবং ডমিনিক লিভাকোভিচের সৌজন্যে দুই দূর্গেই পতন রোধ হয়। কিন্তু বিয়াল্লিশ মিনিটে ২-১ করে ফেলেন লুকা মদ্রিজরা। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে জয় সূচক গোল ওরসিচের।
ফ্রান্সের কাছে হার তো কী হয়েছে, তৃতীয় স্থানের ম্যাচে দেশ ঠিক ঘুরে দাঁড়াবে। এই আশা নিয়েই এদিনও মাঠে ভিড় করেছিলেন মরক্কোর সমর্থকরা। কিন্তু ফ্রান্স যে দূর্গ নড়িয়ে দিয়েছে, তারপর তাতে আর কোনও মেরামত হয়নি। যে রক্ষণ নিয়ে গর্ব ছিল মরক্কোর, তাতে এদিন দেখা গেল বিরাট ফাঁক। সেই সুযোগেই প্রথম গোল ক্রোয়েশিয়ার। সেইসঙ্গে ছিয়ানব্বই মিনিট পর্যন্ত সুযোগ পেয়েছিলেন জিয়াস, বুফোল, এন-নাসিরারা। এদিনও সেই গোল মিসের পরম্পরা ধরে রাখল মরক্কো। প্যারিস স্টেশনে আগেই বেলাইন হয়েছিল মারাকাস এক্সপ্রেস। এদিন অ্যাটলাস সিংহদের যেন আরও ব্যর্থ মনে হল।
উল্টোদিকে পেশাদারিত্ব দেখাল ক্রোয়েশিয়া। দেখিয়ে দিল একটা ম্যাচ হেরে যাওয়া মেনে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাওয়া নয়। নতুন দিনে নতুন ম্যাচ। তাই নতুন ফর্মেশনে দল সাজিয়ে মদ্রিজদের মাঠে পাঠিয়েছিলেন ডালিচ। সফল হলেন। রবিবার এক এলএম টেন ফাইনাল খেলতে নামবেন। শনিবার আর এক এলএম টেন কাতার থেকে সাইন-অফ করলেন। সুকেরের স্মৃতি ফিরিয়ে দেশকে বিশ্বকাপে তৃতীয় করেই মাঠ ছাড়লেন ৩৭ বছরের লুকা মদ্রিজ।