নৈহাটি বিধানসভার আসন্ন উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-র সমর্থনে স্পষ্ট বার্তা তিন প্রধান মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিংয়ের অন্যতম কর্তাদের। রাজ্য ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তও সোশ্যাল মিডিয়ায় সনৎ দে-কে নিয়ে ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তিন প্রধানের। খেলা থেকে বিভিন্ন বিষয়ে তিন ক্লাবই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ নেন। ক্লাবের বিভিন্ন বিশেষ দিনে যান মুখ্যমন্ত্রীও। এতদিন পর্যন্ত এখানেই সীমাবদ্ধ ছিল সেই সম্পর্ক। এবার সরাসরি শাসকদলের এক প্রার্থীকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিল তিন প্রধান। এমন নজির সাম্প্রতিক কালে দেখা যায়নি। অন্তত, ময়দান ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা এমন কোনও ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না।
নৈহাটি থেকে ব্যারাকপুরে লোকসভার প্রার্থী হয়ে জিতেছেন পার্থ ভৌমিক। তাই নৈহাটিতে এবার উপনির্বাচন। সেই উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। দেবব্রত সরকার, দেবাশিস দত্ত, কামারুদ্দিনের মতো তিন প্রধানের কর্তারা প্রশংসা করেছেন সনৎ দে-কে। তাঁর মতো ফুটবল সংগঠক কম আছে বলেই জানিয়েছে তিন প্রধান। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তও জানিয়েছেন, ফুটবলের স্বার্থে তাঁর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। প্রাক্তন ফুটবলার সংগ্রাম মুখোপাধ্যায়ও সরাসরি সনৎকে বিপুল ভোটে জেতানোর আবেদন করেন।
কিন্তু কলকাতা ময়দানে কেন এমন বেনজির ঘটনা! আরজি কর আন্দোলনে তিন প্রধানের সমর্থকরা পথে নেমেছিল। গত ১৮ অগাস্ট ডুরান্ড কাপের বড় ম্যাচে আরজি কর আন্দোলনের টিফো ও ব্যানার নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুই প্রধানের সমর্থকরা। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় ম্যাচ বাতিল করে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। তিন প্রধানের সমর্থকরাই যুবভারতীর সামনে প্রতিবাদে সামিল হয়। সেদিন পুলিশ লাঠি চালায়। আটক করা হয় সমর্থকদের। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আরজি কর আন্দোলনে তিন প্রধানের সমর্থকদের যোগদানের ক্ষত মেরামত করতেই এই যৌথ বার্তা দিয়েছেন তিন প্রধানের কর্তারা। যা সাম্প্রতিক অতীতে নজিরবিহীন।