চার দশক আগে সেটাও ছিল এমন এক ষোলোই অগাস্ট। ডার্বির উত্তাপে কালো হয়েছিল ভারতীয় ফুটবল। খেলার মাঠের সেই কলঙ্ক মুছতে মুছতে প্রায় বিয়াল্লিশ বছর কেটে গিয়েছে। সেই ক্ষত শুকানোর আগেই মঙ্গলবার সকালে ফিফার পত্রবোমায় ফের কালোদিন নেমে এল ভারতীয় ফুটবলে। অভিযোগ, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ।
এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ফুটবলের উপর থেকে শাস্তি তুলতে দুটি শর্ত রেখে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। তাদের প্রথম শর্ত হচ্ছে, ভারতীয় ফুটবলে আদালত নিযুক্ত প্রশাসকদের নিষিদ্ধ করতে হবে। এবং দুই, আবার ফেডারেশন কর্তাদের হাতেই ফুটবলের দায়িত্ব তুলে নিতে হবে। অর্থাৎ ফিফার দ্বিতীয় শর্তের মধ্যেই রয়েছে নির্বাচনের ইঙ্গিত। নির্বাচন হলেই শাস্তির মেঘ কাটতে পারে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। অগাস্ট মাসের শেষেই ভারতীয় ফুটবলে নির্বাচন হতে পারে। আর তা হলেই স্বাভাবিকের পথে ফিরতে পারে সুনীল ছেত্রীদের ফুটবল ভবিষ্যৎ।
ফলে, মঙ্গলবার সকাল থেকে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা দুপুরে ফিফার শর্তে খানিকটা আশ্বস্তকর পরিস্থিতির তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে দিল্লিতে। তার আগে, বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে ভারতীয় ফুটবলের প্রতিটি ক্লাব কর্তারা। কারণ, মোহনবাগান যেমন এএফসি কাপ খেলতে পারবে না, তেমনই ইস্টবেঙ্গলও নতুন করে বিদেশি সই করাতে পারবে না। তাই, সব এখন ফুটবল হাউজের কর্তাদের সিদ্ধান্তের উপরেই