সেমিফাইনাল বলে কিছু নয়। বিশ্বকাপ মানে ফাইনাল। বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এটাই দর্শন মরক্কোর কোচ ওহিদ রেগাগুইয়ের। তাই দলকে জানিয়ে দিয়েছেন, সেমিফাইনালে আটকে থাকলে হবে না। ফাইনালে উঠতে হবে। ফ্রান্সকে হারিয়ে কী ফাইনালে ওঠা সম্ভব ? অসম্ভব কিছু নয় বলেই মনে করেন চুয়াল্লিশ বছরের মরক্কোর টিমের বড় দাদা। যাঁর জন্ম ফ্রান্সে। যিনি ফরাসিতেই কথা বলেন। কিন্তু তাঁর দেশ মরক্কো। ফলে বুধবার এক অন্য অনুভূতি বইতে পারে মাঠের মধ্য়ে। জন্মভিটের বিরুদ্ধে জেতার জন্য ঝাঁপাবেন রেগাগুই ও তাঁর মরক্কো।
সেই ১৯৮৬। মেক্সিকোর সিটির এই বিশ্বকাপ বিখ্যাত মারাদোনার বিশ্বকাপ বলেই। ৩৬ বছর আগে উত্তর আফ্রিকার এই দল শেষবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল। তারপর বিশ্বকাপে মরক্কো মানে শুধু যাওয়া আর আসা। কিন্তু কাতারের বিস্ময়ের নাম মারাকাস এক্সপ্রেস। স্পেন, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, এই বিশ্বকাপে অ্য়াটলান্স সিংহদের শিকার। এরপর কী তাহলে ফ্রান্স ? এই ম্য়াচ আবার আসরফ হাকিমি বনাম কিলিয়ান এমবাপের। মরক্কোর কোচ অবশ্য তাতে বিচলিত নন। তিনি জানিয়েছেন, আফরফ তৈরি আছেন এমবাপে আটকানোর জন্য। শুধু এমবাপে নয়, তারকা সমৃদ্ধ ফ্রান্সকে আটকানোর নীল-নকশা তাঁর তৈর।
ফুটবল পন্ডিতদের দাবি, সেই ১৯৯৮ সালে একটা ক্রোয়েশিয়ার উত্থান হয়েছিল। তারপর এই কাতারে মরক্কো। ফুটবল দুনিয়া বদলে যাচ্ছে, কুলীন দেশ বলে আর কিছু থাকছে না। এবার কাতারে যেন এই বার্তাই দিতে এসেছে মরক্কো। যারা বিভিদের মাঝে মহামিলন।