মরক্কোকে ২-০ গোলের ব্যবধানে থামিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। প্রথম ৫ মিনিটে ফ্রান্সের হয়ে গোল করেন থিও হার্নান্ডেজ। পরিবর্ত হিসেবে নেমে ৪৪ সেকেন্ডে গোল করে বিশ্বকাপে ইতিহাস তৈরি করলেন সুপার সাব কোলো মুয়ানি। এটাই তাঁর বিশ্বকাপে প্রথম গোল। রবিবার আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে নামবে লে ব্লুজ।
বড় ম্যাচে বড় টিমই খেলে। এটাই যেন প্রমাণ করে দিল ফ্রান্স। দিদিয়ের দেশেঁর ফুটবল স্ট্র্যাটেজির কাছেই থামতে হল বিশ্বকাপে 'অপরাজিত' মরক্কো-কে। ম্যাচের শুরু থেকেই গ্রিজম্যান, এমবাপে, জিরুর মতো গোল স্কোরারদের মার্ক করে রাখে মারাকান ডিফেন্স। কিন্তু প্রথম ৫ মিনিটে তৈরি হওয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন থিও হার্নান্ডেজ। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এরপর গোটা ম্যাচ শুধু স্ট্র্যাটেজি নির্ভর। এন নাসিরি, হাকিমিদের সুন্দর পাসিং, অসাধারণ ড্রিবলিং, চোখধাঁধানো বোঝাপড়া, সব থমকে গেল মাঝমাঠেই। মরক্কোর দুই উইংকে আকে দিল ফ্রান্স। যে কটি ভাল শটে গোল হতে পারত, তা আটকে গেল ফরাসি গোলকিপার ও অধিনায়ক হুগো লরিসের গ্লাভসে।
সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে ১ গোল যথেষ্ট নয়। দ্বিতীয়ার্ধে বারবার গোলের খোঁজে এগোয় ফ্রান্স। অবশেষে সেই মুহূর্ত আসে। গোল পেলেন না নিজে। কিন্তু কিলিয়ান এমবাপের স্বপ্নের ড্রিবলিং, বডি মুভমেন্ট ও গতির কাছে হার মানলেন মরক্কোর ডিফেন্ডাররা। তাঁর 'ঐশ্বরিক' পাস থেকেই ৭৫ মিনিটে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন কোলো মুয়ানি। ৯৬ মিনিট পর্যন্ত লড়াইয়ে খামতি রাখেনি মরক্কো। কিন্তু গোলের অভাবে হার মানতে হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন: পুজারা-শ্রেয়সের জুটিতে স্বস্তি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দিনের শেষে ভদ্রস্থ জায়গায় ভারত
১৯৩৪, ১৯৩৮। পরপর দুবার ফাইনালে উঠে জয়ের রেকর্ড গড়ে ইতালি। ১৯৫৮, ১৯৬২। পেলের ব্রাজিল দুবার পরপর চ্যাম্পিয়ন হয়। এবার সেই রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ফ্রান্সও। জিতলেই তৃতীয় দল হিসেবে ৬০ বছর পর ইতিহাস তৈরি করবে তাঁরা।