বিশ্বকাপ আর ফ্রান্স। মিলেনিয়ামের আশ্চর্য রূপকথা। ছবির দেশ ও কবিতার দেশ নিমেষে হয়ে ওঠে ফুটবলের দেশ। ১৯৯৮ সালে ব্রাজিলকে (Brazil 1998 FIFA World Cup) হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়। ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে জিদানের (Zidane) ঢুঁসো ও ফ্রান্সের বিদায়। এর আগেও এই দেশ থেকে এসেছেন একাধিক কিংবদন্তি। কিন্তু জিনেদিন জিদান যেভাবে ফরাসি ফুটবলকে বিশ্বমঞ্চে এনেছেন, তা বোধ হয়, আর কখনও আসেনি। ১৯৯৮-২০১৮। ২০ বছরে যেন এক বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়। জিদানের পর দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন পোগবা (Pogba) ও কাইলান এমবাপের জুটি। এবার কাতার বিশ্বকাপে পরপর দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য নীলব্রিগেডের।
বিশ্বকাপের আগে টিমে সবথেকে খারাপ খবর এসেছে। পল পোগবা চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে অনিশ্চিত। ধরে নেওয়া হচ্ছে, বিশ্বকাপে মাঠে নামতে পারবেন না তিনি। তবে পোগবার উপরেই শুধু নির্ভরশীল নয় ফ্রান্স। এবার টিম গতবারের থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী। কাইলান এমবাপে, মওসা ডায়াবি,ওসমানে ডেমবেলে। থাকছেন গত বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ফুটবলার অ্যান্তোইন গ্রিয়েজম্যান। দেখা যাবে অভিজ্ঞ ফুটবল করিম বেঞ্জিমাকে। ১৯৫৮ সালে পেলে সবথেকে কম বয়সে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। ২০১৮ সালে ১৯ বছরে বিশ্বকাপ জিতে সবাইকে চমকে দেন এমবাপে। এবার দ্বিতীয়বার বিশ্বজয়ের জন্য অনেকটাই পরিণত হয়েছেন। প্রতিপক্ষ আরও বেশি সাবধানী। দেশকে কাপ এনে দেওয়া চ্যালেঞ্জ এমবাপের।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে সিডনি থেকে গ্রেফতার শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার দানুষ্কা গুণতিলাকা
এবার বিশ্বকাপে গ্রুপ ডি-তে আছেন ফ্রান্স। প্রতিপক্ষ টিমে আছেন অস্ট্রেলিয়া,ডেনমার্ক ও তুনিশিয়া। প্রাক্তন ফরাসি ফুটবলার মালুদা জানাচ্ছেন, "প্রত্যেক বিশ্বকাপেই জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মতো টিমকেই বাজি ধরে সবাই। সেমিফাইনালেও প্রায় একই টিমই যায়। আমার বাজি তাই ফ্রান্স। প্রথমবার নভেম্বর, ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ নতুন।"