১২০ মিনিট। ৬টি গোল। এমবাপের হ্যাটট্রিক। ম্যাচে জোড়া মেসির। এখানে শেষ হল না। নাটক গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানে ক্লদিও গায়কোচিয়ার উত্তরসূরি হয়ে উঠলেন এমি মার্টিনেজ। আর মেসির মঞ্চে ৩৬ বছরের খরা কাটালেন এমন একজন। যিনি মেক্সিকোতে তাঁর দেশের বিশ্বকাপ জয়ের এতদিন গল্প শুনে এসেছিলেন। সেই মন্ট্রিয়াল পায়েই শেষ হল এক ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ ফাইনাল। যার চিত্রনাট্য কে লিখেছিলেন সেটাই হয়তো আগামী চার বছর চর্চার বিষয় হয়ে থাকবে।
জীবনের শেষ বিশ্বকাপ যে এ ভাবে তিনি সেলিব্রেট করবেন, হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি লিও মেসি। কারণ ৩৬ মিনিটের মধ্যে তিনি ও ডি মারিয়ে মিলে ফ্রান্সকে কার্যত প্যাক-আপ করে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে ম্যাচ যে টাইব্রেকার পর্যন্ত যাবে, মেসি কেন অতিবড় ফুটবল পন্ডিতরাও ভাবতে পারেননি। সত্যিই গত ৫০ বছরে একটা সেরা ফাইনাল উপহার দিল কাতার। কত বিতর্ক, কতটা ঝগড়া সব কিছু থামিয়ে এবারে বিশ্বকাপ শেষ করল দোহা। লুসাইল অভিশপ্ত নয়। লুসাইল শাপ মুক্তির মাঠ। যতদিন বেঁচে থাকবেন, হয়তো এই কথাটাই মনে রাখবেন লিও মেসি। ৩৬ বছর পর বুয়েন্স আয়ার্স কাপ ফিরিয়ে আজ তিনিই মেসিদোনা।
কথা দিয়ে এসেছিলেন। কথা রাখলেন। কিন্তু এমন হাইভোল্টজ ম্যাচ হয়তো দেশের জন্য তো বটেই, এমনকী ক্লাবের জার্সিতেও কোনও দিন খেলেননি তিনি। যাইহোক, গত কয়েকদিন ধরে যা টানাপোড়েন চলছিল। তার অবসান হল। আগামী চার বছর লাতিন আমেরিকার ক্যাবিনেটে রাখা থাকবে বিশ্বকাপ। সৌজন্য লিও মেসি।