১৯২৫ সালে প্রথম ডার্বি। সেই মর্যাদার লড়াই ১০০ বছর পরেও একইরকম। এখনও কি ডার্বি মানেই বাঙালির ফুটবল যুদ্ধ। বোধ হয় না। ঘটি-বাঙাল হোক বা ইলিশ-চিংড়ি। বাংলার মজ্জার সঙ্গে কোথায় মিশে একটা ফুটবল ম্যাচ। এখন এই ডার্বিতে বাঙালিদের দাপট কোথায়!
এই ডার্বিতে কে খেলেননি! পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামীর মতো মেগাস্টাররা খেলে গিয়েছেন। সাতের দশকে কলকাতা ময়দানের আকাশে তখন সুব্রত ভট্টাচার্য, শিশির ঘোষ, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, সুভাষ ভৌমিক, গৌতম সরকাররা নক্ষত্রের মতো জ্বলছেন। ইস্টবেঙ্গলের পঞ্চপান্ডবের কথা কে না জানেন! আহমেদ খান, আপ্পা রাও, ভেঙ্কটেশ, সালেহ ও কেপি ধনরাজকে নিয়ে লাল-হলুদে অন্যরকম মিথই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ডার্বি মানেই বাঙালিদের ফুটবল যুদ্ধ। আত্মসম্মান ও মর্যাদার লড়াই। সেই সময় কেমন ছিল ডার্বি যুদ্ধ। বাংলার সীমানা পেরিয়ে মুম্বইয়ের রোভার্স কাপে কেমন ছিল ডার্বির সেই যুদ্ধ। ময়দানে সেই সময় ডার্বির উত্তেজনা কেমন ছিল! স্মৃতি রোমন্থন করলেন প্রাক্তনরা।
কলকাতা ফুটবলে সোনালি অধ্যায় দুই কোচ অমল দত্ত ও পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই। ডায়মন্ড সিস্টেম বনাম ভোকাল টনিক সেই সময় তুমুল জনপ্রিয়। নয়ের দশকের শেষ দিকে কলকাতা ফুটবল, জাতীয় লিগের ডার্বি মানেই ছিল আলাদা উন্মাদনা। সেই সময়ের ডার্বি নিয়ে আবেগপ্রবণ প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস।
কলকাতা ডার্বি। বড় ম্যাচে বাঙালি ফুটবলার নেই। তাহলে ঘটি বাঙালের আবেগ বুঝবে কে! এই প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু যা আছে, তাও কিন্তু কম নয়। আইএসএলে ডার্বি ম্য়াচে উন্মাদনা এখনও একই রকম। নতুন ফরম্যাটে ডার্বি ম্যাচে সমর্থকদের ঢল নামে গ্যালারিতে। তৈরি হয় বড় বড় টিফো, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড। গ্যালারিতে ভেসে ওঠে আবেগ। বড় ম্যাচ যেন যুগে যুগে বারবার এভাবেই প্রাণ ফিরে পায়, এটুকুই আশা ফুটবলপ্রেমীদের।