শক্তি, গতি, ট্যাকল, ড্রিবলিং। সব মিলিয়ে কিলিয়ান এমবাপে। বিশ্বকাপ ফাইনালে লিওনেল মেসির মতো 'ঐশ্বরিক' প্রতিভাকে একা রুখে দিতে পারেন। তাঁকে নিয়েই তৈরি হয়েছে ফরাসি ফুটবলের নতুন স্বপ্ন, নতুন ভোর। পেলের রেকর্ড ছোঁয়ার প্রহর গুনছেন। কীভাবে শুরু হয়েছিল এমবাপের ফুটবল সফর। কেমন ছিল এমবাপের শৈশব।
প্যারিসের শহরতলি বন্ডিতে জন্ম। ৫ বছর বয়সে প্রথম ফুটবল খেলা শুরু এ এস বন্ডি ক্লাবে। এমবাপের প্রথম কোচ ছিলেন রোহাত সারি। সেখানেই বেড়ে ওঠা এমবাপের। পরিবার খুব সচ্ছল ছিল না। বন্ডি থেকে বাসে, ট্রেনে প্যারিস। কঠিন লড়াই করে জাতীয় দলে সুযোগ। বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের দিন সেজে উঠেছে তাঁর শহর বন্ডি। এ এস বন্ডি ক্লাবও উচ্ছ্বাসে মেতেছে। এখান থেকেই প্রথম ফুটবল। ফ্রান্স ফুটবলে ঢেলে পরিকাঠামো সাজায়। কিন্তু প্রতিভা থাকলেও, আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকে না সবার। সেই জায়গা থেকে লড়াই এমবাপের। তাই এ এস বন্ডি ক্লাবের তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রেরণা এমবাপে। বন্ডির বাসিন্দারা চান, ঘরের ছেলে এমবাপে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ঘরে আনুক।
১৯৯৮ সাল। জিনেদিন জিদানের হাত ধরে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স। ঘটনাচক্রে সেই বছরই জন্ম এমবাপের। ২০০৬ সালে ফাইনালে হারের যন্ত্রণা। এরপর ২০১৮। ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। এবার কাতার। একই প্রজন্ম পরপর দুবার বিশ্বকাপ জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপে, ব্রাজিলের পর আর কোনও দেশ করে দেখাতে পারেনি।