মাতৃস্নেহ। কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চে এই ছবি এবার বারে বারে তুলে ধরেছে মরক্কো। নিজেদের গতিতে এগিয়েছে মারাকাস এক্সপ্রেস। আর ম্য়াচ শেষে মায়ের স্নেহ চুম্বনে আবদ্ধ হয়েছেন কোচ রেগেগুই থেকে ফুটবলার জিয়াস, এন-নাসিরিরা। কাতারের প্রায় প্রতিটি স্টেডিয়ামের ছুটে গিয়েছেন মরক্কোর মায়েরা। ম্য়াচ জয়ের পর ছেলেদের স্নেহ চুম্বনে তাঁরা আদর করেছেন। বিবিদের মাঝে মিলন মহান। কাতারে এটাই হতে পারে মরক্কোর জন্য সেরা বিশেষণ। একটা ড্রেসিং রুম। তিনটি ভাষা। কিন্তু মাঠে তাঁরা একটাই দল। তাই বিজয় উৎসবে যেমন থাকে মরক্কোর পতাকা। তেমনই ফুটবলারের গায়ে ভেসে ওঠে কাতারের জাতীয় পতাকা। একমাত্র দেশ যাঁদের ৭৫ শতাংশ ফুটবলারের ভিটে-মাটি সব ইউরোপে। তবুও দেশের শিক্ষার উন্নয়নের স্বার্থে একটি অর্থও নেন না হাকিম জিয়াস। পুরোটাই দান করেন শিশু শিক্ষায়। যাতে দেশের শিক্ষার হার ৭২ শতাংশ থেকে বাড়তে পারে।
আফ্রিকা। মানেই শোষন আর অত্য়াচারের কাহিনি। মরক্কো কিন্তু ব্যতিক্রম। জার্মান আক্রমণ রুখে তাঁরা নিজেদের শিরদাঁড়া সোজা করেছিল। উত্তর আফ্রিকার দেশ বরাবর রাজনৈতিক ভাবে সচেতন। রাজার দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্টায় সফল। এহেন মরক্কোতেও আজ প্রতিটি সংবাদপত্রের শিরোনামে দেশের ফুটবলের গড়িমার কথা। যার হেডলাইন উই ক্য়ান। কাসাব্ল্য়াঙ্কা। দেশের সবচেয়ের বড় শহরের অলি-গলিতে আজ ফুটবল উৎসব। খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজ মেতে কাতারের আনন্দে।
বিশ্বজয় হবে কীনা, তা ফ্রান্স ম্য়াচের পরেই হয়তো জানা যাবে। কিন্তু আজ থেকে ১৬ বছর আগে, এক অন্যকাপ জিতেছে উত্তর আফ্রিকার এই দেশ। রাষ্ট্রসংঘের তালিকায় ভারতের মতো দেশকে পিছনে ফেলে সেরা শিক্ষিত দেশের শিরোপা উঠেছিল করিম বেনশারিফা, নোরা ফতেহির মরক্কোর মাথাতেই।