২০১২ সালে ইউরো কাপ আয়োজন করেছিল ইউরোপের দুই দেশ পোল্যান্ড ও ইউক্রেন। সেই টুর্নামেন্ট উপলক্ষেই তৈরি করা হয়েছিল ইউক্রেনের খারখিভ শহরের সোনিয়াচনি স্টেডিয়াম। দশ বছর বাদে, ২০২২ সালে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালীনই রুশ সেনাবাহিনীর হানায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এই স্টেডিয়ামটি। চলতি ইউরো কাপে অভিনব কৌশলে সেই ধ্বংস হয়ে যাওয়া স্টেডিয়ামের স্মৃতিই ফিরিয়ে আনল ইউক্রেন। রোমানিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের ম্যাচের আগে মিউনিখের রাস্তায় প্রদর্শন করা হল সেই ধ্বংস হয়ে যাওয়া খারখিভ স্টেডিয়ামের একটি স্ট্যান্ড। যে উদ্যোগের নেপথ্যের মূল কারিগর ইউক্রেনের কিংবদন্তি ফুটবলার তথা দলের প্রাক্তন কোচ আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো। অবশ্য শুধু তিনিই নন। ইউক্রেনের ফুটবল ফেডারেশন জড়িয়ে রয়েছে এই উদ্যোগের সঙ্গে। সেই ভগ্নস্তূপ হয়ে যাওয়া স্ট্যান্ডের গায়ে লেখা, 'আমাদের স্ট্যান্ড ভেঙে দিলেও, আমাদের উঠে দাঁড়ানো কখনও আটকানো যাবে না'।
ইউক্রেন-রোমানিয়া ম্যাচের আগে এই ছবি নিজেদের এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করে ইউক্রেনের ফুটবল ফেডারেশন। যা নিয়ে বিশ্বজুড়েই ফুটবল-অনুরাগীদের মধ্যে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শেভচেঙ্কো বলেন, 'এগারো জনের দল মাঠে খেলছে ইউক্রেনের হয়ে। কিন্তু মাঠের বাইরে কয়েক লক্ষ ইউক্রেনবাসীও জেগে রয়েছেন দেশের জন্য, দেশকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি৷ যাঁরা দেশের জন্য লড়াই করেছেন, করছেন এবং আমাদের দেশকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টায় ব্রতী- আমরা তাঁদের জন্যই খেলে যাব'।
যুদ্ধ আসে যায়। ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিরে আসে মানুষ। ফের মাঠে নামে জেতার আশায়। ইউরো ২০২৪-এর প্রথম ম্যাচে রোমানিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হেরে গিয়েও ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে এভাবেই জেগে রইল লড়াকু ইউক্রেন।