কথা বার্তা শেষ। আজ বিশ্বকাপ চাই। রবিবার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আর্জেন্টিনা দলকে এই মন্ত্রেই বেঁধে দিলেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তিনি খেলছেন, এই বার্তাতে চনমনে গোটা নীল-সাদা ব্রিগেড। তারমধ্যে মেসির এই ভোক্যাল টনিকে যেন ফুটছেন হুলিয়ান আলভারেজ, মলিনা, ম্যাক-আলিস্টাররা। ড্রেসিংরুমে এই বার্তা মেসির। আর ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিশ্বযুদ্ধ জয়ের আগে বিনয়ী আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। ফুটবল এক বনাম একের নয়। ফুটবল দুই দলের। তাই মেসি বনাম এমবাপের লড়াই উড়িয়ে স্কালোনির দাবি, লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচ হবে আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্সের।
উপরে মেসি থাকবেন। আর নীচে তাঁরা দূর্গ সামলাবেন। এমবাপের দাপট রুখতে এটাই কৌশল আর্জেন্টিনার। যা মাঠে নামার আগে বেশ জোড় গলায় জানিয়ে গেলেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমি মার্টিনেজ। তাঁর দাবি, গত বছর কোপায় মেসি যা খেলেছিলেন। এবার কাতারে লিও আরও পরিণত। তাই অধিনায়কের উপরেই ভরসা রাখছেন তাঁরা। বিশ্বাস বিশ্বকাপ যাবে বুয়েন্স আয়ার্সেই।
এই সেই লুসাইল। যেখান থেকে কাতার কেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটিয়েছিল সৌদি আরব। সেই দিন আজ অতীত। এখন লুসাইল এবং মেসি যেন সমার্থক। সেই লুসাইল অপেক্ষায় মেজি জাদুর জন্য। পারবে কী আর্জেন্টিনা ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর বিশ্বকাপ জিততে ? পারবে কী আর্জেন্টিনা বিশ বছর পর ইউরোপের দেরাজ থেকে বিশ্বকাপ লাতিন আমেরিকায় নিয়ে যেতে ? অপেক্ষা কয়েক ঘণ্টার।