ম্যান ইউনাইটেড যে তাঁর হৃদয়ের খুব কাছাকাছি তা কখনও গোপন করেননি তিনি। কেরিয়ারের সায়াহ্নে জুভেন্তাস ছেড়ে পুরনো ক্লাবে ফিরে এসে প্রথম সিজনটায় রেড ডেভিলস-এর হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করে রোনাল্ডো শুরুও করেছিলেন স্বমহিমায়।
দিন বদলে যায়।
টক-টিভির সাংবাদিক পিয়ার্স মর্গানকে দেওয়া নব্বই মিনিটের দীর্ঘ ইন্টারভিউতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো যা যা বলেছেন, তাতে তিনি আর কোনওদিন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি পরে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নামবেন কি না– তা নিয়ে সন্দেহ। শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারা বিশ্বের ফুটবল দুনিয়ায়।
কোচকে আমি সম্মান করি না, কারণ কোচের থেকে আমি সম্মান পাই না– বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে ম্যান ইউ মালিক গ্লেজার্স পরিবারের সমালোচনা। ক্লাবের ব্যর্থতার জন্য মালিক কর্তৃপক্ষের সমালোচনা, কোচ টেন হ্যাগের সমালোচনা থেকে শুরু করে কিছুই বাদ দেননি সিআরসেভেন। ইপিএলে তাঁর ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে নিয়ে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার আলোড়ন ফেলেছে ফুটবলবিশ্বে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, ক্লাব বনাম রোনাল্ডোর সঙ্ঘাত শেষ পর্যন্ত কাতারে তাঁর খেলার উপরে কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না তো?
অন্যদিকে, রোনাল্ডোর ওই সাক?ষাৎকারের অংশ প্রকাশ পাওয়ার পরেই ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয় টেন হ্যাগের। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ম্যাঞ্চেস্টারের কোচ ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছেন যে, রোনাল্ডোকে তিনি আর তাঁর দলে খেলাবেন না।
বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকার কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসে ক্লাব ফুটবলে ভবিষ্যৎ কী? প্রশ্ন এখন সেটাই।