প্যারিস অলিম্পিক্সে বক্সিং বিভাগে পদক নিশ্চিত করে ফেলেলেন আলজেরিয়ার বক্সার ইমানে খেলিফ। শনিবার মহিলাদের ৬৬ কেজি বিভাগের বক্সিংয়ের কোয়ার্টারফাইনালে জয়ী হলেন তিনি। হাঙ্গেরির অ্যানা হামোরিকে ৫-০ পয়েন্টে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে পৌঁছন ইমানে খেলিফ। আর তার পরই কেঁদে ফেললেন তিনি। উল্লেখ্য খেলার মাঝেই ইমানের লিঙ্গকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। চলতি অলিম্পিক্সে তাঁর প্রতিপক্ষ হিসেবে রিংয়ে ছিলেন ইতালির বক্সার অ্য়াঞ্জেলা কারিনি। খেলা চলাকালীন ইমানের দুটি পাঞ্চ লাগে কারিনির নাকে। রক্ত বের হতে থাকে। সন্দেহ করা হয়েছিল নাক ভেঙে গিয়েছে। এই ঘটনার পরেই প্রতিযোগিতা থেকে নাম তুলে নেন কারিনি। এবং নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ইমানে খেলিফের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ইমানে খেলিফ জিনগতভাবে পুরুষ এবং রূপান্তরকামী।
অন্যদিকে ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানেও সোনার পদকের ম্যাচ থেকে ইমানে খেলিফকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও প্যারিস অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
এদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ইমানে। তাঁর চোখে জল দেখা যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কোচ। তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, ইমানেকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল। এর সঙ্গে আলজেরিয়ার দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি। তিনি বলেন, "তারা ওঁকে মানসিকভাবে অত্যাচার করেছিল। দীর্ঘজীবী হোক আলজেরিয়া।"
এদিকে সেমি ফাইনালে পৌঁছে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করেছেন ইমানে খেলিফ। শনিবার খেলার শুরু থেকেই অর্থাৎ প্রথম রাউন্ড থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন ইমানে। যদিও খেলার মাঝেই প্রতিপক্ষ অ্য়ানা হামোরির একটি জ্যাব তাঁর নাকে আঘাত করে। যদিও তাতে দমে যাননি আলজেরিয়ান বক্সার।
যদিও বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না খেলিফের। প্রথম রাউন্ডে তাঁর একটি পাঞ্চ অ্য়ানা হামোরির মাথার পিছনে লাগে। সেসময় তাঁকে সতর্ক করে দেন রেফারি। তবে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে সেরকম অঘটন কিছু ঘটেনি। যদিও বিশ্বজুড়ে ইমানেকে নিয়ে আলোচনা চলছেই। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে যে লিঙ্গ বিতর্ক উঠেছে তাতে আমোল না দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে আরব দুনিয়া।