করোনার (Corona virus) কারণে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (Indian Super Leauge) প্রায় দু’সপ্তাহ মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছিল এটিকে-মোহনবাগানকে (Atk Mouhan Bagan)। সূত্রের দাবি ছিল, গোয়ায় (Goa) করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সবুজ-মেরুনের একাধিক ফুটবলার। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তারকারও ছিলেন। তাই বারে বারে অনুশীলন বাতিল করতে হয়েছিল কলকাতার এই প্রধানকে। এরমধ্যে স্থগিত হয়েছিল তাদের তিনটি ম্যাচ। সেই সব বিপত্তি কাটিয়ে রবিবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (Isl) ফের মাঠে নেমেছিল এটিকে-মোহনবাগান। কিন্তু প্রতিপক্ষ ওড়িশার (Odisha Fc) বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট মাঠেই রেখে এলেন রয় কৃষ্ণরা (Roy Krishna)। একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ঠ করে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল সবুজ-মেরুনকে। ম্যাচের ফল গোল শূন্য।
ওড়িশার বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট তুলতে চার-দুই-তিন-এক এই ছকে দল সাজিয়েছিলেন সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando)। তাই ডেভিড উইলিয়ামসকে সামনে রেখে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার দায়িত্ব ছিল রয় কৃষ্ণা, মনভীর সিং এবং লিস্টন কোলাসোরদের উপরে। শুরু থেকে ওড়িশার ডিফেন্সে ঝাঁপিয়ে পড়েন কলকাতার এই ক্লাবের ফুটবলাররা। একের পর এক গোল সুযোগ নষ্ঠ করেন রয় কৃষ্ণ থেকে ডেভিড উইলিয়ামসরা। এরমধ্যে লিস্টন কোলাসোর দুরন্ত ফ্রি-কিক রুখে দেন ওড়িশার গোলকিপার অর্শদীপ সিং।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে রয় কৃষ্ণকে তুলে নেন এটিকে-মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরেন্দো। তারপরেই কমে যায় এটিকে-মোহনবাগানের আক্রমণের ঝাঁঝ। কারণ, শুরু
থেকেই গোল পেতে মরিয়া ছিলেন ফিজির এই স্ট্রাইকার। তাই দিনের শেষে ম্যাচ ড্র হওয়ায় এটিকে মোহনবাগান কোচ ফেরান্দোই হয়তো নীরবে নিভৃতে নিজেকে দোষ
দেবেন।
এই ড্রয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় এখন সাত নম্বরে দাঁড়িয়ে সবুজ মেরুন। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৬। যদিও দুটি ম্যাচ কম খেলেছে কলকাতার এই দল। উল্টো
দিকে ১২ ম্যাচ থেকে ওড়িশার পয়েন্ট ১৭। ৬ নম্বরে রয়েছে তারা। ওড়িশার বিরুদ্ধে ড্র করেই চিরআবেগের ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে এটিকে
মোহনবাগান। একদিকের ডাগ আউটে মারিও রিভেরা। অন্যদিকে ফেরান্দো। দুই স্পেনীয় কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই দেখবে ভারতীয় ফুটবল।