নভেম্বরেই আইপিএলের মেগা নিলাম। আর সেই মেগা নিলামের রিটেনশন তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কোন কোন টিম, কাদের ধরে রাখবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। অনেক ক্রিকেটারকে মেগা নিলাম থেকে ফের কিনে নেবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। আইপিএলের ১৭ বছরের ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে যে সব ক্রিকেটার ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁরাই আইপিএলে সাফল্য পেয়েছেন। অন্য দলে গিয়ে, তাঁরাই সুপারস্টার হয়ে উঠেছেন।
এবার একাধিক ক্রিকেটারকে রিলিজ করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স! তালিকায় আছেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন টিমের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে গতবারের মিনি নিলামে সাড়ে ২৪ কোটি টাকায় কেনা মিচেল স্টার্ককেও। ২০২৩ সালে আইপিএলে টিমকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নীতিশ রানা। তাঁকেও রিলিজ করেছে কলকাতা। তবে শোনা যাচ্ছে নীতিশ রানাকে নিলামে কিনে তাঁকেই অধিনায়ক করতে চাইছে কলকাতা। ভেঙ্কটেশ আইয়ার, বৈভব অরোরা, রহমাতুল্লাহ গুরবাজ, অঙ্গকৃশ রঘুবংশী, অনুকূল রায়, মনীশ পান্ডেদেরও রিলিজ করেছে কলকাতা। নিলামে তাঁদের না কিনলে অন্য টিম কিনে নেবে। কলকাতা থেকে ছেড়ে যাওয়া ক্রিকেটাররাই আগামী মরশুমে নাইটদের চিন্তা বাড়াতে পারে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সে ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত খেলেছেন সূর্যকুমার যাদব। টিমের সহ অধিনায়কও ছিলেন সূর্যকুমার। ২০১৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কিনে নেয় সূর্যকুমার যাদবকে। ব্যাটিং অর্ডার পাল্টে সাফল্য পান স্কাই। জাতীয় দলে সুযোগও পান তিনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সে থেকে যেতে চেয়েছিলেন শুভমান গিল। ২০২১ সালে নিলামের আগে তাঁকে রিটেইন করেনি নাইট কর্তৃপক্ষ। সেবারই নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাত টাইটান্সে যান শুভমান গিল। দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন শুভমান। জাতীয় দলেও সুযোগ পান। দুই দফায় KKR-এ ছিলেন প্যাট কামিন্স। ব্যক্তিগত কাজের জন্য KKR ছাড়েন কামিন্স। পরবর্তী কালে আইপিএলে ফিরে দারুণ পারফরম্যান্স করেন। ২০১২ সালে কলকাতায় ছিলেন সঞ্জু স্যামসন। সেই বছরই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয় কেকেআর। একটিও ম্যাচে নামানো হয়নি তাঁকে। পরের বছরই রাজস্থান রয়্যালসে যোগ দিয়েই সাফল্য পান সঞ্জু। ২০১৩ সালে আইপিএলে মহম্মদ শামিকে নিলামে কিনে নিয়েছিল কলকাতা। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলিয়েছিল কলকাতা। কলকাতা ছেড়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে যান শামি। এরপর পঞ্জাব কিংস ছেড়ে গুজরাত টাইটান্সে যান শামি। অন্য সব দলেই সফল ভারতীয় পেসার।
মাত্র ২ বছর কেকেআরে ছিলেন ক্রিস গেইল। কলকাতায় তেমন পারফরম্যান্স করতে পারেননি। ২০১১ সালে আরসিবি-তে যোগ দিয়ে একের পর এক নজির গড়েন ক্রিস গেইল। এই তালিকায় আছেন ব্রেন্ডন ম্যাকালামও। আইপিএলের প্রথম মরশুমের প্রথম ম্যাচে তাঁর ১৫৮ রানের ইনিংস এখনও অবিষ্মরনীয়। কিন্তু আর কেকেআরে তেমন সাফল্য পাননি ম্যাকালাম। চেন্নাই সুপার কিংস, গুজরাত লায়ন্স, আরসিবি-তে গিয়ে দারুণ সফল কিউয়ি ওপেনার।
কেকেআর থেকে ছেড়ে গিয়ে সাফল্য পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন কিউয়ি পেসার ট্রেন্ট বোল্টও। ২০১৭ সালে কলকাতায় যোগ দেন তিনি। এক বছর পরই তাঁকে ছেড়ে দেয় কলকাতা। রাজস্থান রয়্যালস গিয়ে প্রচুর উইকেট পেয়েছেন বোল্ট। ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয় কুলদীপ যাদবকে। ২০২২ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসে যোগ দেন। দিয়েই ২০২২ মরশুমে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেন তিনি।