হইহই করে চলছে প্যারিস অলিম্পিক। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ বলে কথা। রোজ কত শত ঘটনা ঘটছে, তারই মধ্যে দু-একটা নজরে পড়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্বের। আবারও সত্যি হয়ে যাচ্ছে সেই প্রাচীন প্রবাদ- অলিম্পিকের অভিধানে 'অসম্ভব' শব্দটাই নেই। অলিম্পিক নিয়ে যাদের বিন্দুমাত্র উৎসাহও নেই, গত ২৪ ঘণ্টায় এক অলিম্পিয়ানের নাম জেনে গিয়েছেন তাঁরাও। তুরস্কের ইউসুফ ডিকেচ।
কী করেছেন তিনি? সোনা জিতেছেন? না। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল শুটিং-মিক্সড বিভাগে জিতেছেন রুপো। অথচ সব আলোচনা তাকে ঘিরেই। ৫১ বছরের ইউসুফ ডিকেকের ইভেন্টের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। চোখে সাধারণ চশমা, স্পেশালাইস লেন্স নেই, কানে ইয়ার প্রোটেক্টার নেই। এক হাত আবার পকেটে, অন্য হাত দিয়েই নিশানায় তাক করছেন। দেখে কে বলবে তিনি সবচেয়ে বড়, নামি প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমেছেন? ইউসুফকে না দেখলে যে কেউ বলতেন, এমন চাপমুক্ত থাকা অসম্ভব।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ইউসুফ তুরস্কের প্রাক্তন সেনা আধিকারিক। ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন ডিকেচ, পদক জেতা এই প্রথম। সিঙ্গলসে কিন্তু এ বছরেও প্রথম দশে উঠতে পারেননি তিনি। অথচ ডবলসে রুপো জিতে গোটা বিশ্বের সেনসেশন হয়ে উঠলেন।
তবে জীবন তো মিরাক্যল নয়, সাফল্যের পথে শর্টকাটও নেই। রাতারাতি 'হিরো' হননি ডিকেচ। পকেটে হাত দিয়ে লক্ষ্যভেদের ভঙ্গি যতোটা সহজ ছিল, তার পেছনের সব গল্প নিশ্চয়ই ততোটা সহজ নয়। রুপো জিতে সংবাদ মাধ্যমকে ডিকেচ নিজেই জানিয়েছেন, 'পকেটে হাত দিয়ে সাফল্য আসেনি'।
নেটিজেনরা অবশ্য বারবারই বলছেন, আলোচনার কেন্দ্রে ডিকেচ থাকলেও সমান কৃতিত্ব প্রাপ্য ডিকেচের আরেক পার্টনার সেভাল ইলাইদা তারহানেরও।
১০ মিটার এয়ার পিস্তলের ওই মিক্সড ইভেন্টেই সরবজ্যোৎ সিংহের সঙ্গে জুটি বেঁধে দেশকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দিয়েছেন মনু ভাকের।